প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র ঘিরে ইতিমধ্যেই শোরগোল শুরু হয় দেশে। দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে এই তথ্যচিত্র প্রদর্শন ঘিরে তুলকালাম পরিস্থিতি দেখা যায়। তার আগেই, ওই বিতর্কিত তথ্য চিত্রের কনটেন্ট ভিডিয়ো যাতে ইউটিউভব ও টুইটার থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় কেন্দ্রের তরফে। এমনই তথ্য আসে সূত্র মারফৎ। এরপর ভারতে বিবিসির কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। সেই আর্জি শুক্রবার খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।
ভারতের মাটিতে ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন ও বিবিসি ইন্ডিয়া-র যাবতীয় কাজ কর্মে যাতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়, তার আর্জি জানিয়ে ওই জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের জাতীয় সম্প্রচারক এই সংস্থাকে ঘিরে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই ব্যাপক তোলপাড় হয়েছে। নরেন্দ্র মোদীকে ঘিরে এক তথ্যচিত্র দিয়ে বিবিসিকে ঘিরে নয়া বিতর্কের সূত্রপাত। ওই তথ্যচিত্রকে ঘিরে ব্রিটেনের সংসদেও বক্তব্য রাখেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তিনি এই বিতর্কে কার্যত মোদীর পাশে দাঁড়ান। প্রসঙ্গত, যে তথ্যচিত্রকে ঘিরে এই গোটা বিতর্কের সূত্রপাত, তাতে দুটি পার্টের সিরিজ রয়েছে। একটিতে ২০০২ সালে গুজরাটের দাঙ্গাকে কেন্দ্র করে তৎকালীন সেরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তুলে ধরে হয়। আর সেই অংশটি নিয়েই যাবতীয় বিতর্ক।
ওই তথ্যচিত্রের প্রথমাংশটি উঠে আসে ইউকের বিবিসির সম্প্রচারে। সেখানে ২০০২ সালে গুজরাটে নরেন্দ্র মোদীর মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে রাজনৈতিক কেরিয়ারের নানান ছবি তুলে ধরেন। সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান ছবি উঠে আসে ও তথ্যচিত্রকে ঘিরে। তথ্যচিত্রের ক্লিপ তুলে ধরা হয় বহু টুইটে। ইউটিউবে ওই কনটেন্টের ভিডিয়ো আসতে থাকে। তারপরই কড়া হতে থাকে কেন্দ্র। উল্লেখ্য, গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সাফ জানানো হয়, তাঁর বিরুদ্ধে এমন কোনও তথ্য প্রমাণ মেলেনি যার জেরে তাঁকে এই ইস্যুতে জিজ্ঞাসাবাদ করা যায়।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup