আব্রাহাম থমাস
সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার প্রাক্তন আইপিএল কমিশনার ললিত কুমার মোদীকে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় বিচারব্যবস্থাকে অপদস্থ করে তিনি যে টুইট ও সোশ্য়াল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন তার জন্য নিঃশর্তে ক্ষমা চাইতে হবে। সেই ক্ষমা চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ও নামী সংবাদপত্রে প্রকাশ করতে হবে। আগামী ২৪ এপ্রিল আদালত অবমাননার পিটিশনটা তোলার আগে এই নির্দেশকে পালন করতে হবে। কড়া নির্দেশ আদালতের।
বিচারপতি এমআর শাহ ও বিচারপতি সিটি রবি কুমারের বেঞ্চ জানিয়েছে, আমরা ওই ব্যাখ্যায় একেবারে সন্তুষ্ট নই। এদিকে ললিত মোদী এর আগেই হলফনামায় তার ইনস্টাগ্রাম পোস্ট নিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন। গত ১৩ জানুয়ারি তিনি এই পোস্ট করেছিলেন। আদালত গত ৩ মার্চ তাঁর কাছ থেকে জবাব চেয়েছিল। কারণ বারের একজন সিনিয়র মেম্বার ললিত মোদীর বিরুদ্ধে আদালতের কাছে আপিল করেছিলেন।
এদিকে আদালতের তরফে বলা হয়েছে. তিনি যে আইনের উর্ধে নন এটা তার বোঝা দরকার। এদিকে ললিত মোদী তার টুইটে উল্লেখ করেছিলেন যে একজন ব্যক্তি তিনিই নাকি ভারতীয় বিচারব্যবস্থার মামলার দিক ঠিক করেন।
এদিকে সিনিয়র অ্যাডভোকেট রঞ্জিত কুমার জানিয়েছেন, মানহানির নোটিশ ইস্যু করার পরেও ওই ব্যক্তি ফের টুইট করেছেন। ফের তিনি ভারতীয় বিচার ব্যবস্থাকে কালিমালিপ্ত করেছেন। এদিকে সিনিয়র অ্য়াডভোকেট অভিষেক মনু সিংভি মোদীর হয়ে আদালতে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি আদালতে জানিয়েছেন, গত ৩০ মার্চ ওই টুইটদুটি করা হয়েছিল। প্রথমটা সঙ্গে সঙ্গে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। আর দ্বিতীয়টি ব্যাখ্যার জন্য করা হয়েছিল।
দ্বিতীয় টুইট সম্পর্ক বেঞ্চ জানিয়েছে, আমাদের প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে, দ্বিতীয় ব্যাখ্যাটাতেও ভারতীয় বিচারব্যবস্থার ইমেজকে কালিমালিপ্ত করেছে।
তবে আদালত জানিয়েছে, তাঁকে নিঃশর্তে ক্ষমা চাইতে হবে। আগামী দিনে তিনি যাতে এই কাজ আর না করেন সেটাও জানাতে হবে। তবে সিংভি জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেল নিঃশর্তে ক্ষমা চাইবেন। সমস্ত সোশ্য়াল মিডিয়া প্লাটফর্মে তা পোস্ট করা হবে। মুম্বই, দিল্লি, চেন্নাই, কলকাতা, বেঙ্গালুরু বহুল প্রচারিত সংবাদপত্রে তা প্রকাশ করা হবে।
আদালত জানিয়েছে, আগামীদিনে যাতে এই ধরনের টুইট করা না হয় তা নিয়েও ললিত মোদীকে হলফনামা দিতে হবে। আগামী ২৪ এপ্রিল মোদীকে এনিয়ে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।