সীমা হায়দার। এই নাম শুনলেই আজ আর আলাদা করে তাঁর পরিচয় করে দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। সচিনের পাকিস্তানি বউ বলেও বেশ পরিচিতি পেয়ে গিয়েছেন তিনি। তবে সীমা নাকি মন থেকে পাকিস্তান শব্দটি মুছে ফেলতে সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছেন। গত জুলাই মাসে একটি নিউজ চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে সীমা জানিয়ে দিয়েছিলেন আর পাকিস্তানে যেতে চাই না। আসলের সীমার কাছে পাকিস্তান অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ সবই নাকি ভারত।
রাধে রাধে লেখা উড়ুনি ব্যবহার করছেন, লোকজনকে দেখলে হাতজোড় করে প্রণাম করছেন, ঠাকুর পুজো করছেন, প্রেমের টানে ভারত- পাক সীমা পেরিয়ে এসে তিনি এখন অন্য সীমা।
তবে কাল ১৫ অগস্ট। ভারতের স্বাধীনতা দিবস। মিডিয়া রিপোর্ট বলছে সীমা এবার হর ঘর তেরঙা উৎসবে সামিল হয়েছেন বলে খবর। তিনি স্বামী সচিন মিনার সঙ্গে ভারতের জাতীয় পতাকাও উত্তোলন করেছেন। এদিকে একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি সামনে এসেছে। যেখানে দেখা গিয়েছে সীমা স্লোগান দিচ্ছেন পাকিস্তান মুর্দাবাদ, হিন্দুস্তান জিন্দাবাদ। তবে সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
তবে সীমার জীবন গত কয়েকদিনে বদলে গিয়েছে অনেকটাই। সীমা একটি বলিউড সিনেমায় অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছেন। অমিত জানি নামে এক সিনেমা প্রযোজক সীমাকে নিয়ে ফিল্ম বানাতে চাইছেন। সিনেমার নাম করাচি টু নয়ডা। তবে সীমা সেই সিনেমায় এখনই অভিনয় করতে চাইছেন না। কারণ উত্তরপ্রদেশ এটিএস এনিয়ে তদন্ত করছে। সেখান থেকে ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত তিনি এখনই এনিয়ে সেই সিনেমায় অভিনয় করতে চাইছেন না।
তবে সিনেমাতে অভিনয় না করলেও ভারত-পাকিস্তান দু দেশেই পরিচিত নাম সীমা হায়দার। তবে সম্প্রতি খবর মিলেছিল বিয়ে করার পরে এতগুলো পেট সামলাতে গিয়ে মহা ঝামেলায় পড়েছিলেন সচিন। তিনি কিছুটা অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য়ে পড়েছিলেন। তবে এবার সেখান থেকে বের হওয়ার রাস্তার সন্ধান দিয়েছেন গুজরাটের এক ব্যবসায়ী। তিনি মোটা টাকার কাজের অফার দিয়েছেন বলে খবর।
পাবজি খেলতে গিয়ে ভারতের সচিনের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল সীমার। সেই পরিচয় থেকে প্রেম। সেই প্রেম ক্রমেই গভীর হয়। আর এরপর একদিন সীমান্ত টপকে পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে আসেন সীমা। সঙ্গে তিন সন্তান। অবৈধ পথে ভিসা ছাড়াই তিনি ভারতে চলে এসেছিলেন। তারপরই সন্দেহ দানা বাঁধে তিনি কি পাকিস্তানি চর? তবে সীমা বার বারই সেই দাবি অস্বীকার করেছে।