আগামী লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। কোন কেন্দ্রে কাকে প্রার্থী করা হবে তা নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে ঘুঁটি সাজানো। কিন্তু, শুরুতেই ধাক্কা খেল কংগ্রেস। রাজস্থান, ছত্তিশগড়ে নিয়ে চিন্তিত কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। এই রাজ্যগুলিতে জনপ্রিয়, অভিজ্ঞ এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সম্পন্ন নেতাদের লোকসভা ভোটে প্রার্থী করার চিন্তা ভাবনা করেছিলহাইকম্যান্ড। তবে রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এবং ছত্তিশগড়ের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী টিএস সিংদেও লোকসভা ভোটে লড়বেন না বলেই জানিয়ে দিয়েছেন। নিজেদের ব্যক্তিগত অসুবিধার কারণ জানিয়ে তাঁরা ভোটে না লড়ার কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: নিজের শক্তি বুঝেই তৃণমূলের সঙ্গে জোট আলোচনা, জেলায় জেলায় সমীক্ষা চালাবে কংগ্রেস
মূলত বিজেপির হেভিওয়েট প্রাথীদের বিরুদ্ধে এই দুই রাজ্যে তাঁদের প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। তবে তাঁরা ভোটের না দাঁড়ানোর কথা জানানোই স্বাভাবিকভাবেই চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। এখন প্রশ্ন উঠেছে দলের প্রবীণ এবং অভিজ্ঞ নেতারা ভোটে না দাঁড়ালে সে ক্ষেত্রে প্রার্থী খোঁজার ক্ষেত্রেও সমস্যায় পড়তে পারে। প্রসঙ্গত, বিজেপিও ২০২৪ সালের লড়াইয়ে রণনীতি ঠিক করতে কাদের প্রার্থী করা হবে তা ইতিমধ্যেই পরিকল্পনা করেছে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে বা রাজ্যসভার সাংসদকে এবারের ভোটে প্রার্থী করার পাশাপাশি অভিজ্ঞ নেতা যারা মূল স্রোতে বিশেষ গুরুত্ব পাননি তাদের প্রার্থী করতে চায়ছে বিজেপি। ফলে সেই সমস্ত ক্ষেত্রে প্রার্থী করার ক্ষেত্রে কংগ্রেসকে ভেবেচিন্তে পা ফেলতে হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, লোকসভার ৫৪৩ টি আসনের মধ্যে তিনশটি আসনে একাই প্রার্থী দিতে চাইছে কংগ্রেস। যদিও এ বিষয়ে জোট শরিকদের সঙ্গে কথা বলার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু, নিজেদের মধ্যেই পরিকল্পনার প্রথমেই ধাক্কা খেলো কংগ্রেস, যা ভালো দৃষ্টান্ত নয় বলেই মনে করছেন দলের নেতৃত্বের একাংশ। এ বিষয়ে কংগ্রেসের এক সংসদের বক্তব্য, এখন দলের কঠিন সময় তাই প্রবীণ নেতারা ব্যক্তিগত সমস্যার কথা জানিয়ে লোকসভা ভোট থেকে সরে দাঁড়াতে চাইছেন সেটা মোটেও ঠিক নয়। তাদের কাছে দলের কঠিন সময়ে ব্যক্তিগত সমস্যা বড় হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বিকল্প পথ খুঁজে নিতে হবে বলেই তিনি মনে করছেন।