এবার ইরাকের এরবিলে মার্কিন কনসুলেটের সামনে পর পর বিস্ফোরণের খবর উঠে আসতে থাকে। এদিকে, ঘটনার দায় শিকার করেছে ইরান রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস। ইরান রেভোলিউশনারি গার্ড কর্পস বা আইআরজিএস এই ঘটনার দায় শিকার করেছে। তারা জানিয়েছে, এই হামলায় ‘গুপ্তচরদের হেডকোয়ার্টারে’ টার্গেট করা হয়েছে। ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যেুর খবর অসমর্থিত সূত্রে মিলছে। এদিকে, এর আগে লোহিত সাগরে ফের হুথিদের হামলার মুখে পড়েছে মার্কিন কার্গো জাহাজ। লোহিত সাগরে ওই জাহাজে মিসাইল হামলা চালানো হয়েছে বলে খবর।
এদিকে, ইরাকে মার্কিন কনসুলেটে হামলার পর আইআরজিএস জানিয়েছে, ‘ইরান বিরোধী সমস্ত জঙ্গিদের জমায়েতকে’ টার্গেট করা হবে। প্রসঙ্গত, ইরান সমর্থিত হুথিদের ওপর সদ্য ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে মার্কিন সেনা। সেই হামলায় আমেরিকার সঙ্গে ছিল ব্রিটেন। যৌথ বাহিনীর এয়ারস্ট্রাইকে হুথিদের বহু ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, আজ ইরাকের ইরবিলে মার্কিন কনসুলেটের সামনে যে হামলা হয়েছে, তাতে ৪ জনের প্রাথমিক মৃত্যুর খবর জানাচ্ছে এবিসি নিউজ। তবে তাতে কোনও সরকারি শিলমোহর নেই। তবে ইরাকের নিরাপত্তা সংক্রান্ত সিকিউরিটি ফোর্স জানিয়েছে, তাদের কাছে এই হামলায় মার্কিন সেনার বা যৌথবাহিনীর সেনার মৃত্যুর কোনও খবর নেই। জানা গিয়েছে, ইরাকের ইরবিল এয়ারপোর্টের কাছে যৌথবাহিনী ৩ টি ড্রোন গুঁড়িয়ে দিয়েছে। জানা যাচ্ছে, ইরবিলের আকাশে এয়ার ট্রাফিক থমকে গিয়েছে। ইরবিলে মার্কিন কনসুলেটের কাছে পর পর বিস্ফোরণের পর এয়ার ট্রাফিক বন্ধ রাখা হয় কিছুক্ষণ, বলে খবর।
জানা যাচ্ছে, ইরাকের বুকে এই হামলায় ৮ টি লোকেশনকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। সেখানেই পর পর ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এদিকে, এর আগে, মার্কিন কার্গো জাহাজ 'জিব্রালটার ইগলস' এর ওপর ব্যাপক মিসাইল হামলা শুরু হয়। জানা যাচ্ছে, কোনও মার্কিন জাহাজে এই প্রথম সফল হামলা চালিয়েছে হুথিরা। এর আগে, লোহিত সাগরে হুথিদের দাপাদাপি রুখতে আমেরিকা ব্যাপক এয়ারস্ট্রাইক চালায় পর পর হুথি ঘাঁটিতে। আমেরিকা সতর্কতার সুরে সেবার বলেছিল, এমন আরও স্ট্রাইক হবে, যদি না হুছিরা তাদের হামলা না রুখে দেয়। এরপরই জানা গিয়েছে, একটি কার্গো স্টিল পণ্য সরবরাহকারী জিব্রালটার ইগলকে টার্গেট করে হুথিরা হামলা চালাতে শুরু করে। ঘটনার সত্যতা শিকার করেছে 'ইগল বাল্ক শিপিং'। এদিকে, তারপরই ইরাকে মার্কিন কনসুলেটের সামনে এমন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘিরে তুলকালাম শুরু হয়।