সুতীর্থ পত্রনবীশ: চিনের আর্থিক 'হাব' হিসাবে পরিচিত সাংহাই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কোভিডের জেরে। শুধুমাত্র সাংহাই শহরেই ২৩ হাজার ৬০০ জন আক্রান্ত হয়েছেন কোভিডে। এরই মাঝে, সাংহাইতে সরাসরি কনস্যুলার পরিষেবা বন্ধ করেছে ভারতীয় কনস্যুলেট। ইতিমধ্যেই সাংহাই শহর জুড়ে প্রবল হাহাকার কোভিডের আক্রমণের জেরে। উল্লেখ্য, সাংহাইতে ওমিক্রন নির্ভর স্রোতের হাত ধরে কোভিড ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ছে বলে খবর।
সাংহাইতে ভারতের কনস্যুলেট এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, 'কোভিডের উর্ধ্বগামী গতির জেরে চিনের সাংহাই সিল থাকার কারণে সেখানে কনস্যুলেট জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার পরিষেবা আপাতত পাওয়া যাবে না, এবং ব্যক্তি কেন্দ্রিক সরাসরি পরিষেবা দেওয়া যাবে না।' বিবৃতিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে 'ইন পারসন' পরিষেবা সাংহাইয়ের ভারতীয় কনস্যুলেট দিতে পারবে না। উল্লেখ্য, সাংহাইতে মঙ্গলবার উপসর্গহীন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নতুন করে ২৫, ১৪১ জন, যা ২৪ ঘণ্টা আগে সেখানে ২২,৩৪৮ ছিল। উপসর্গযুক্ত করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা সেখানে ১,১৮৯ থেকে ৯৯৪ এ গিয়ে পৌঁছেছে। এই তথ্য স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে বুধবার।
মার্চের শুরু থেকে সাংহাইতে ২০০,০০০ সংখ্যক করোনা সংক্রমণ শুরু হতে দেখা যায়। ২৫ মিলিয়নের বাস এই শহরে। তবে মার্চের শুরু থেকে এই শহরে যেভাবে করোনার দাপট বেড়ে গিয়েছে, তাতে ব্যাপক চাপে পড়ে যায় প্রশাসন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শহরে কড়া বিধি লাগু করে প্রশাসন। তারপর থেকে কার্যত রুদ্ধ সাংহাই। এরপর শহরের ভারতীয় কনস্যুলেটও বন্ধ করে দেওয়া হয়। কোভিড পরিস্থিতি নজরে রাখতে হেলিকপ্টার, ড্রোন চালু করা হয়েছে। আরও পড়ুন- কানাডায় আচমকা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ভারতীয় পড়ুয়া, ধৃত ১, কী ঘটে গিয়েছে?
এদিকে, বিদেশ থেকে আসা পর্যটকদের জন্য সাংহাইতে কোয়ারেন্টাইনের দিন ১০ থেকে ১৪ দিন করা হয়েছে। এরপর এক সপ্তাহ ধরে থাকতে হবে কোয়ারেন্টাইনে। এই ১৭ দিন ধরে ছয়টি নিউক্লিক অ্যাসিড টেস্ট ও অ্যান্টিজেন টেস্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। শুধু সাংহাইতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তা নয়, চিনের বিভিন্ন শহরে এমন পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যেই কঠোর করোনাবিধির মাঝে সাংহাই সহ একাধিক শহরে লকডাউন লাগু রয়েছে। গত এক সপ্তাহে সাংহাই সহ একাধিক ছোট,বড় শহরে এই লকডাউন লাগু হয়েছে। সাংহাই সহ চিনের ২৩ টি শহরে কোভিডের ভয়াবহ পরিস্থিতির মাঝে বহু তাইওয়ানের সংস্থা আপাতত অফিস বন্ধ রেখেছে।