জনসমক্ষে পর পর গুলি। তারপরই মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। স্থানীয় সময় সাড়ে ১১ টা নাগাদ এক প্রচার অভিযানের মাঝে অভিশপ্ত মুহূর্তে এমন এক ঘটনার জন্য তখন কেউ প্রস্তুত ছিলেন না। প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর হত্যাকারী ৪১ বছর বয়সী তেতসুয়া ইমাগামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে জিজ্ঞাসাবাদের পর উঠছে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
গুলি করার পরই এলাকা থেকে ছুটে পালানোর চেষ্টা করছিল তেতসুয়া। তবে পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। বাড়িতে তৈরি শটগান দিয়ে এই হত্যাকাণ্ড চালানো তেতসুয়া পুলিশি জেরার মুখে জানিয়েছে, সে শিনজো আবেকে সে হত্যা করেছে তবে, হামলা করতে চেয়েছিল অন্য একজনকে। যে ব্যক্তি তেতসুয়ার নিশানায় ছিলেন তিনি একজন ধর্মগুরু। তিনি তেতসুয়ার মায়ের সঙ্গে প্রতারণা করেন বলে অভিযোগ তেতসুয়ার। সেই ধর্মগুরুকে হত্যা করতে চেয়ে শিনজো আবের ওপর হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছে তেতসুয়া। ছাগলের কান ঝুলছে মাটি পর্যন্ত! এমন কান নিয়ে সুপারস্টার পাকিস্তানের 'সিম্বা'
উল্লেখ্য, প্রয়াত শিনজো আবে ওই ধর্মগুরু ও তাঁর সংগঠনকে আরও প্রচারে নিয়ে আসেন তাঁর শাসনকালে। এমনই অভিযোগ তেতসুয়ার। আর সেই রাগ থেকেই সে শিনজোর ওপর গুলি চালায়। শিনজোর রাজনৈতিক বিশ্বাসের সঙ্গে তেতসুয়া ক্ষোভ ছিল না, রাগ ছিল ওই ধর্মীয় গুরুকে নিয়ে। আর তার জেরেই এই ক্ষোভ ও হত্যা। জাপানের নারা শহরে তেতসুয়ার বাড়িতে হানা দিয়ে পুলিশ বহু অস্ত্র , বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে।