২০২০ সালে গড়ে ২৫% বেড়েছে সোনার দাম। তবে তার চেয়েও বড় চমক হল, এ বছরে রুপোর দাম চড়েছে গড়ে ৫০ শতাংশ, যা শুনে অনেকেই অবাক হচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার স্পট সিলভার সূচকে বার্ষিক ৪৯% উত্থানের জেরে রুপোর দাম দাঁড়িয়েছে ২৬.৬৪ ডলার।
ভারতে ২০২০ সালে সোনা ও রুপোর দামে উল্লেখযোগ্য উত্থান দেখা গিয়েছে। বছরের শেষ দিন বাজার বন্ধের সময় সোনার দরে বার্ষিক উত্থান দাঁড়াল ২৭%। পাশাপাশি, অতিমারী বিধ্বস্ত বছরে মোটের উপর ৫০ শতাংশ বেড়েছে রুপোর দামও। যার ফলে প্রতি কেজি রুপোর দাম প্রায় ৮০,০০০ টাকার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে।
বর্তমানে ভারতীয় বাজারে সোনার দা্ প্রতি ১০ গ্রাম যাচ্ছে ৫০,০০০ টাকার কাছাকাছি এবং রুপোর সাম্প্রতিদ দর যাচ্ছে কেজিতে ৬৮,৫০০ টাকা।
কোটাক সিকিউরিটিজ-এর তরফে বলা হয়েছে, ‘রুপোর দাম বৃদ্ধির পিছনে রয়েছে কোভিড পরিস্থিতিতে অর্থনীতি চাঙ্গা করতে আমেরিকার আরও মুক্ত আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণার সম্ভাবনা, শিল্পক্ষেত্রে চাহিদা বৃদ্ধির লক্ষণ এবং চিনা অর্থনৈতিক বিকাশের প্রবণতা। ইটিএফ-এর হালচাল লগ্নিকারীদের উৎসাহ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিচ্ছে।’
তবে সংস্থার তরফে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, সোনার দামে অস্থিরতা দূর না হলে আগামী কয়েক সপ্তাহে রুপোর দরও সমানে ওঠা-নামা করবে। এই সমস্যা থেকে একমাত্র রেহাই দিতে পারে মার্কিন ডলারের দামে লাগাতার পতন, যার জেরে সোনা-রুপোয় বিনিয়োগে উৎসাহীহতে পারেন লগ্নিকারীরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে রুপোর দাম ২৫.৫০ ডলারের উপরে দাঁড়ালে সূচকে রুপোর দরে উত্থান চালু থাকবে। এমনই পূর্বাভাস করেছে জিওজিৎ ফাইন্যানশিয়াল সংস্থা।
তবে আউন্সপ্রতি ২৫ ডলারের নীচে দর নামলে রুপোর দামে নিম্নগতি সহজে রোখাযাবে না বলেই মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
প্রসঙ্গত, এমসিএক্স সূচকে রুপোর ন্যুনতম দাম ধার্য করেছে ৬৬,২০০ টাকা প্রতি কেজি।