রবি কৃষ্ণান খাজুরিয়া
স্ট্র্যাটেজিক নর্দার্ন কমান্ডের লেফটেনান্ট জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী।শুক্রবার বড় ইঙ্গিত দিলেন তিনি। পাকিস্তানি আর্মির স্পেশাল ফোর্সের অবসরপ্রাপ্ত সেনারা জম্মু ও কাশ্মীরে জঙ্গি হিসাবে কাজ করছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে লেফটেনান্ট জেনারেল দ্বিবেদী বলেন, আমরা যখন ওই জঙ্গিদের মধ্যে কয়েকজনকে চিহ্নিত করার চেষ্টা করছিলাম তখন আমরা বুঝতে পারি কয়েকজন অবসরপ্রাপ্ত সেনা( পাকিস্তানি সেনা)। সেই অপারেশন ধারাবাহিকভাবে চলে। পাকিস্তান চায় এখানে বিদেশি জঙ্গিদের ঢুকিয়ে দিতে। কারণ এখন আর স্থানীয় যুবকদের জঙ্গি হিসাবে নিয়োগ করতে পারছে না। আর এখন আমাদের লক্ষ্য হল বিদেশি জঙ্গিদের একেবারে নিকেশ করা।
লেফটেনান্ট জেনারেল দ্বিবেদীকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, তবে কি পাকিস্তানের স্পেশাল ফোর্সের সেনারও কাশ্মীরে জঙ্গি হিসাবে কাজ করছে?
লেফটেনান্ট জেনারেল দ্বিবেদী জানিয়েছেন, লস্কর কমান্ডার কাউরি ও তার সহযোগীর মৃত্যু পাকিস্তানের কাছে বড় আঘাত। তিনি বলেন, আসলে রাজৌরি আর পুঞ্চ জেলায় দুই ভয়ঙ্কর জঙ্গি নানা কার্যকলাপ করার চেষ্টা করছিল। কিন্তু সেটা ওরা করতে পারেনি। পাকিস্তানের গোটা খেলা ভেস্তে গিয়েছে। তাঁর কথায় অন্তত ২০-২৫জন জঙ্গি রাজৌরি ও পুঞ্চে লুকিয়ে রয়েছে।
তবে তিনি বলেন, যেভাবে সুরক্ষা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে স্থানীয়দের সহায়তায় তাতে এক বছরের মধ্যে গোটা এলাকা নিজেদের করায়ত্ত করতে পারবে সুরক্ষা বাহিনী। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, সামনেই লোকসভা নির্বাচন। সেক্ষেত্রে জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধি করার চেষ্টা হতে পারে।
এদিকে জঙ্গি দমনে গিয়ে কালোকোটে এনকাউন্টার হয়েছিল। সেখানে পাঁচ সেনাও শহিদ হয়েছিলেন। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান লেফটেনান্ট জেনারেল।
লেফটেনান্ট জেনারেল জানিয়েছেন, এই দুই কুখ্য়াত জঙ্গি এলাকায় একের পর এক হত্যাকাণ্ড চালাত। নাশকতা চালাত। কিন্তু এদের ধরা যাচ্ছিল না। এদের কাছে অস্ত্র ছিল। তাঁর মতে এই কুখ্যাত জঙ্গিরা ধাংরি হত্যা, কান্দি হত্যা ও রাজৌরির ঘটনায় যুক্ত ছিল। তারা নিরস্ত্র সাধারণ মানুষকেও হত্যা করত। এদেরকে নিকেশ করতেই হত।