কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে ইতিমধ্যেই লড়াইয়ে নামার জন্য অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর অনুমতি পেয়ে গিয়েছেন শশী থারুর। এরপর ১০ জনপদে সনিয়ার সঙ্গে অশোক গেহলোটের বৈঠক নিয়েও জল্পনা চরমে ওঠে। বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশা সরিয়ে সনিয়া স্পষ্ট জানিয়েছেন যে, তিনি কোনও পক্ষের দিকে ঝুঁকে থাকবেন না। এই একই কথা তিনি শশী থারুরকেও জানিয়েছেন বলে শোনা গিয়েছে। আর একথাই তিনি স্পষ্ট করে দেন গেহলোটকেও।
ঘণ্টা খানেক আগেই অশোক গেহলোট দিল্লির রাজনীতি তোলপাড় করে এক ইঙ্গিত দিয়েছেন। সেই ইঙ্গিতে সম্ভাবনা রয়েছে যে, শশী থারুরের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের সভাপতির দৌড়ে ভোটের ময়দানে নামতে পারেন অশোক গেহলোট। মঙ্গলবার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলোট তাঁর বিধায়কদের সঙ্গে জয়পুরে মধ্যরাত পর্যন্ত বৈঠক করেন বলে খবর। তখন থেকেই জল্পনা চড়ে। এরপর বুধবারের সকালেই দিল্লিতে পা রাখেন তিনি। আর তখন থেকেই কার্যত জল্পনায় শিলমোহর পড়তে থাকে। ধোঁয়াশার মাত্রা চড়িয়ে অশোক গেহলোট বলেন, যদি তিনি কংগ্রেসের সভাপতি পদে ভোটে দাঁড়ান তাহলে সমস্ত বিধায়কদের তিনি দিল্লিতে আসতে বলবেন।
উল্লেখ্য, রাহুল গান্ধী এই মুহূর্তে দেশব্যাপী 'ভারত জোড়ো যাত্রা' নিয়ে ব্যস্ত। তারই মাঝে কংগ্রেসের সভাপতির দৌড়ে নাম উঠে আসে শশী থারুরের। এরপরই অশোক গেলহোটের নামও কার্যত স্পষ্ট হতে থাকে। তবে অশোক গেহলোট এটাও বলেন যে, তিনি শেষবারের মতো একবার চেষ্টা করবেন যাতে রাহুল এই পদ গ্রহণ করতে রাজি হন। এছাড়াও কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা তাঁকে যে ভালোবাসা, আস্থা দেখিয়েছে, তা নিয়ে তিনি তাঁদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।মনে করা হচ্ছে, বুধবার রাতের দিকে মুম্বই উড়ে যাবেন অশোক গেহলোট। আর তারপর তিনি সেখান থেকে রাহুলের কাছে কেরলে যাবেন।