রামলীলার অভিনেতাদের নিয়ে মজা করে নাটক করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন সাবিত্রীবাই ফুলে পুনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা ও এক অধ্যাপক। আর সেই অভিযোগেই এবার গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাদের কিছুটা ঝামেলাও হয়। তাদের বিরুদ্ধে দাঙ্গা করারও অভিযোগ উঠেছে। তবে পুনে আদালত থেকে তাদের জামিন মিলেছে। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে।
বিশ্ববিদ্য়ালয়ের তরফে বলা হয়েছে, একটা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তৈরি করা হবে। সেখানে একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি থাকবেন। তাঁদের রিপোর্টের পরেই প্রয়োজনীয় ব্য়বস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে ঘটনার পরেই পুনে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পেশাল টিমের ব্য়বস্থা করেছে। তবে এভাবে নাটকের কুশীলবদের গ্রেফতার করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন অধ্য়াপক ও পড়ুয়াদের একাংশ। তাঁদের মতে, নাটক নিয়ে কোনও আপত্তি থাকলে তারা সেটা জানাতে পারতেন। কিন্তু আলোচনা করে ব্যাপারটি মেটানো যেত। কিন্তু সেটা না করে এভাবে ছাত্র ও শিক্ষকদের গ্রেফতার করার প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।
ভাইস চ্যান্সেলর সুরেশ গোসাভি টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন, পড়ুয়ারা প্যারোডি করুন এটা আমরাও চাই না। কিন্তু যারা এই নাটক নিয়ে আপত্তি তুলছেন তাঁদের আলোচনায় বসা দরকার ছিল। সকলে মিলে আলোচনা করে সমস্যা মেটানো যেত।
ওই সংবাদমাধ্যমকে পুনের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার জানিয়েছেন, এটা খুবই সংবেদনশীল ব্যাপার। দুপক্ষকেই শান্ত করছে আমাদের টিম।
নাটকের নাম জব উই মেট। রামলীলা নাটকের আগে গ্রীনরুমে অভিনেতা,অভিনেত্রীরা নিজেদের মধ্যে যে মজা করছেন সেটাই তুলে ধরা হয়েছে এই নাটকের মাধ্যমে। আর সেই নাটককে ঘিরেই আপত্তি তুলেছেন এবিভিপি।
ললিত কলা কেন্দ্রের পড়ুয়ারা এই রামলীলার প্রতিবাদ করেছিলেন। সূত্রের খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় এবিভিপি ওই প্রেক্ষাগৃহে আসে। তাদের অভিযোগ, এই নাটকের মধ্য়ে এমন কিছু কথাবার্তা রয়েছে যা আপত্তিকর। এরপর ললিত কলার পড়ুয়াদের সঙ্গে এবিভিপির সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এদিকে পুলিশের তরফে বলা হয়, এই ধরনের নাটকের মাধ্যমে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হতে পারে বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এরপরই অভিনেতাদের গ্রেফতার করা হয়।