সুপ্রিম কোর্ট তামিলনাড়ু সরকারকে জানিয়েছে বেআইনি বালি খাদানের বিরুদ্ধে ইডি তদন্ত করলে আপনাদের সমস্যা কোথায়? সরকার ও তদন্তকারী সংস্থা উভয়ই এই বালি খাদান মামলা নিয়ে আদালতের কাছে পিটিশন জমা দিয়েছিল। তারপরই এনিয়ে কড়া জবাব দিল সুপ্রিম কোর্ট।
এদিকে তামিলনাড়ুর অন্তত পাঁচজন জেলা শাসক এবার তদন্তকারী সংস্থার আতসকাঁচের নীচে রয়েছেন। ইডি তাদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে। এদিকে সেই সমনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাজ্য সরকার রিট পিটিশন দাখিল করে। ইডি সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করে রাজ্য় যাতে এনিয়ে হস্তক্ষেপ না করে সেটা দেখা দরকার।
এদিকে এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী জানিয়েছেন, একটি রাজ্য় কীভাবে রিট পিটিশন দাখিল করতে পারে? কোন আইনে এটা তারা করতে পারে? ইডি সমন পাঠালে সরকারের কীসের সমস্য়া? এব্যাপারে ওদের কী হচ্ছে?
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের তরফে তামিলনাড়ু সরকারের কাছে নোটিশ পাঠিয়ে সামগ্রিক বিষয় নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। সিনিয়র অ্য়াডভোকেট মুকুল রোহতাগি রাজ্যের তরফে ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, ইডির এব্যাপারে তদন্ত করার কোনও অধিকার নেই।
বিচারপতি ত্রিবেদী আইনজীবীর কাছ থেকে ব্যাখা চেয়েছে। তিনি জানিয়েছেন,এতে রাজ্যের কী স্বার্থ রয়েছে সেটা আমাদের বলুন। রাজ্যের রাগের কারণটা কী? প্রাথমিক তদন্তের উপর আমরা স্থগিতাদেশ দিতে পারি। কিন্তু আমাদের কাছে তথ্য় দিতে হবে।
আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। সেখানে মনে করা হচ্ছে তামিলনাড়ু সরকার হয়তো তাদের রিট পিটিশনের ব্যাখা দেবে। তবে বেআইনি বালি খাদান মামলাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্য়েই শোরগোল পড়েছে তামিলনাড়ুতে। প্রসঙ্গত একটা সময় বাংলাতেও এই বেআইনি বালি খাদান সংক্রান্ত নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। তারপর এনিয়ে নানা ধরপাকড় হয়. তবে বর্তমানে সেই অভিযোগ অনেকটাই কমেছে। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও নানা সময়ে ইডি ও সিবিআইয়ের তদন্তের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছে। আদালতে গিয়ে সেই তদন্ত আটকানোর চেষ্টা করেছে। এবার তামিলনাড়়ুর ক্ষেত্রেও একই প্রবণতা।