দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টে স্বস্তি পেলেন না আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা আমানাতুল্লাহ খান। তাঁর আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে নিয়োগে অনিয়ম এবং বেআইনিভাবে কিছু সম্পত্তি লিজ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এর পর আপ নেতার বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে ইডি। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি হয়। সেই সংক্রান্ত মামলায় তাঁকে আগাম জামিন দিতে অস্বীকার করে সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। তবে সুপ্রিম কোর্ট আগাম জামিন না দিলেও ইডিকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে গ্রেফতারের ক্ষমতা প্রয়োগ না করার জন্য সতর্ক করেছে। সুপ্রিম কোর্ট ইডিকে বলেছে, আপ নেতার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণ না থাকলে তাঁকে গ্রেফতার করা উচিত নয়। আদালত ইডির কৌঁসুলিকে বলেছে, ‘যদি প্রমাণ থাকে তবে তাঁকে গ্রেফতার করুন আর যদি প্রমাণ না থাকে তবে গ্রেফতার করা হবে না। পিএমএলএ- আইনের ১৯ ধারা মেনে চলুন। পূর্বের আদেশ অনুসরণ করুন। গ্রেফতারের অধিকারকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়।’
আর আগে গত ১১ মার্চ মামলার শুনানি করার সময় দিল্লি হাইকোর্ট আমানাতুল্লাহ খানকে স্বস্তি দেয়নি। আদালত তাঁকে সতর্ক করে বলেছিল, ইডি-র পাঠানো সমন বারবার উপেক্ষা করা ভুল। আদালত আমানাতুল্লাহকে আগাম জামিন দিতেও অস্বীকার করেছিল। হাইকোর্ট বলেছিল যে বিধায়কদের জানা উচিত যে তাঁরা আইন অমান্য করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কারণ আইনের চোখে সমস্ত নাগরিক সমান। এই সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেন আমানতুল্লাহ।
আগামী ১৮ এপ্রিল সকাল ১১টায় ফের তাঁকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। যদিও তাঁর জামিন অযোগ্য পরোয়ানা জারির ইডির আবেদন খারিজ করে দিয়েছিল নিম্ন আদালত। একইসঙ্গে বার বার ইডির সমন এড়িয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ’আপনি সমনের জবাব না দিয়ে আপনার পুরো বিষয়টিকে এলোমেলো করেছেন। বারবার সমন জারি করা হয়েছিল, আমরা কীভাবে তা ক্ষমা করতে পারি?
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ সালে ওয়াকফ বোর্ডের চেয়ারম্যান থাকাকালীন আপ নেতার বিরুদ্ধে এই সমস্ত অভিযোগ উঠেছিল। এরপর এই মামলায় তদন্ত শুরু করে ইডি। সেই মামলার তদন্তে ৬ বার আপ নেতাকে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। তবে প্রত্যেকবারই সমন এড়িয়ে যান তিনি।