আফগানিস্তানে তালিবান শাসন ফিরে আসার পরেই একের পর এক মহিলাদের অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। সেখানে মহিলাদের জন্য উচ্চশিক্ষার দরজা আগেই বন্ধ করেছে তালিবান সরকার। তার পর একে-একে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় মহিলাদের কাজ করা বন্ধ করেছে। পরে মহিলাদের বিউটি পার্লারে কাজ করার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালিবান সরকার। আর এবার আরও একধাপ এগিয়ে পাথর ছুড়ে হত্যার প্রথা ফিরিয়ে আনল তালিবানরা। পরকীয়ার শাস্তি হিসেবে মহিলাদের পাথর ছুড়ে হত্যা করার ফতোয়া জারি করেছে তালিবান সরকার। একই সঙ্গে পশ্চিমী দেশগুলির বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখার কথা ঘোষণা করেছে।
আরও পড়ুন: আনুষ্ঠানিক ভাবে তলিবানের সঙ্গে বৈঠক ভারতের, কথা হল জঙ্গি গোষ্ঠীকে খতম করা নিয়ে
একটি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত একটি অডিয়ো বার্তায় তালিবান নেতা মোল্লা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা বলেন, ‘দ্রুত আমরা পরকীয়ার জন্য শাস্তি কার্যকর করব। এর জন্য আমরা প্রকাশ্যে মহিলাদের বেত্রাঘাত করব। তারপরে আমরা প্রকাশ্যে পাথর মেরে হত্যা করব।’ একইসঙ্গে পশ্চিমী দেশগুলিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘নারীদের পাথর মেরে হত্যা করাটা আপনাদের কাছে মহিলাদের অধিকারের লঙ্ঘন মনে হতে পারে। তবে এটাই আমাদের কাছে সঠিক।’
২০২১ সালের অগস্টে আফগানিস্তান দখল করে ক্ষমতায় ফিরে আসে তালিবান। তখন তালিবান দাবি করেছিল, তারা নারীশিক্ষা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে আগের মতো কট্টরপন্থী মনোভাব পোষণ করবে না। কিন্তু, তারপরই পুরনো রূপে ফিরে আসতে থাকে তালিবানরা। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে আসার পর তালিবানদের সবচেয়ে কঠোর প্রথাগুলির একটি হল এই প্রথা।
পশ্চিমী দেশগুলিকে আক্রমণ করে আখুন্দজাদা বলেন, ‘আমরা মানবাধিকার রক্ষা করি আল্লাহর প্রতিনিধি হিসেবে এবং আপনারা শয়তানের প্রতিনিধি হিসেবে।’ প্রসঙ্গত, আখুন্দজাদাকে খুব বেশি জনসমক্ষে দেখা যায় না। ধারণা করা হয় আখুন্দজাদা দক্ষিণ কান্দাহারে তালিবানদের শক্ত ঘাঁটিতে আছেন। তাদের এই নতুন ফতোয়া দেখে মনে হচ্ছে যে আবার নব্বইয়ের দশকের পুরনো শাসনকালের দিকেই ফিরে যাচ্ছে তালিবানরা।