২০২১ সালের অগস্ট মাসে আফগানিস্তানের মাটি থেকে নিজেদের শেষ সেনা প্রত্যাহার করেছিল আমেরিকা। আর সঙ্গে সঙ্গে সেদেশের গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিল তালিবান। এর আগে বিগত দুই দশক ধরে আফগানদের নানান ভাবে সাহায্য করে আসছিল ভারত। তবে তালিবান ক্ষমতা দখল করার পর ভারত-আফগান সম্পর্ক প্রশ্নের মুখে পড়েছিল। তবে তালিবান দখলদারি শুরু হওয়ার কিছু পর থেকে ফের আফগানিস্তানে নিজেদের কাজ শুরু করে ভারত। আফগানিস্তানে কোনও রাষ্ট্রদূত মোতায়োন না করলেও সেখানকার মানুষজনের জন্য ত্রাণ পাঠানো জারি রাখে ভারত সরকার। এই সবের মাঝেই তালিবানের সঙ্গে 'ব্যাকচ্যানেল' আলোচনাও চালিয়েছে ভারত। তবে এবার আনুষ্ঠানিক ভাবেই তালিবান সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করল ভারত। (আরও পড়ুন: ৭৫ হলেই কি প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়বেন মোদী? নমোর 'অবসর' নিয়ে বড় আপডেট দিলেন শাহ)
আরও পড়ুন: অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে সরকারি কর্মীরা, কেন্দ্রের সঙ্গে এই রাজ্যে আরও বাড়ল
রিপোর্ট অনুযায়ী, বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ইস্যু এবং অর্থনৈতিক বিষয়ে আলোচনার জন্য তালিবান 'বিদেশমন্ত্রী' আমির খান মুত্তকির সঙ্গে দেখা করেন ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের 'পাকিস্তান, আগানিস্তান এবং ইরান বিষয়ক' যুগ্ম সচিব জেপি সিং। বৃহস্তপতিবার এই বৈঠকটি হয় কাবুলে। উল্লেখ্য, ভারত সরকারি ভাবে আফগানিস্তানের তালিবানি সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি। এই আবহে কাবুলের বৈঠকের আলোচনা নিয়ে বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে কোনও বাক্য ব্যয় করা হয়নি এখনও।
আরও পড়ুন: অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে দলে নিয়ে কম কথা বলার নির্দেশ বিজেপির? শুরু জল্পনা
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের অগস্টের পর থেকেই তালিবান নেতাদের সঙ্গে ভারতীয় কূটনীতিকরা বৈঠকে বসেছেন দোহা বা মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য জায়গাতে। এই আবহে বৃহস্পতিতে কাবুলের বৈঠক যে বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলাই বাহুল্য। এদিকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক এই বৈঠকের বিষয়ে কিছু না বললেও তালিবানের মুখপাত্র দাবি করেন, ভারত-আফগান সম্পর্ক, অর্থনীতি এবং ইসলামিক খোরাসান জঙ্গিগোষ্ঠীকে খতম করার মতো ইস্যু নিয়ে দুই পক্ষের আলোচনা হয়। এদিকে ধারাবাহিক ভাবে ত্রাণ সাহায্যের জন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদও জানিয়েছে তালিবান সরকার। এদিকে আফগান ব্যবসায়ী এবং রোগীদের ভিসা দেওয়ার বিষয় নিয়েও ভারতের কূটনীতিকের সঙ্গে আলোচনা হয় তালিবানি বিদেশমন্ত্রীর। এদিকে ইরানের চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে আফগান-ভারত বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন তালিবানি মন্ত্রী। উল্লেখ্য, তালিবান কাবুল দখল করার পর থেকে ভারত আফগানিস্তানে ৫০ হাজার টন খাদ্য সামগ্রী এবং ওষুধ পাঠিয়েছে। তবে আফগানিস্তানে ভারতের যে পরিকাঠামোগত প্রকল্পগুলি মাঝপথে থমকে গিয়েছিল, সেগুলি আর শুরু করেনি দিল্লি।