অর্থনীতি, তামিল, ইংরেজি, অ্যাকাউন্টেসি, কমার্স অ্যাকাউন্টেন্সি, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, এই প্রতিটি বিষয়ে নন্দিনী ১০০ তে ১০০ পেয়েছেন। বলছেন, কোনও চাপ ছাড়াই তিনি পড়াশোনা করে গিয়েছেন।
1/4এমন লড়াই খুব একটা সহজ হয় না। একদিকে কেরিয়ারের লড়াই, অন্যদিকে, দারিদ্রতার সঙ্গে সমান তালে লড়ে যাওয়ার যুদ্ধ। দুই দিকের যুদ্ধে বাজিমাত করা চ্যাম্পিয়ানরাই শেষ পর্যন্ত নজর কাড়ে। আর সেরকমই এক যুদ্ধ লড়ছেন তামিলনাড়ুর এস নন্দিনী। যিনি সদ্য বোর্ডের দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় ৬০০ তে ৬০০ পেয়ে প্রথম হয়েছেন। বাবা পেশায় শ্রমিক। এমন এক পরিবার থেকে মেধা তালিকার প্রথমে উঠে আসার লড়াইটা কেমন ছিল? জেনে নেওয়া যাক, নন্দিনীর অনুপ্রেরণামূলক লড়াইয়ের কাহিনি।
2/4তামিলনাড়ুর দিন্দিগুলের আন্নামালাইয়ার মিলস গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী নন্দিনী। তাঁর বাবা পেশায় দিন মজুর। নন্দিনীর বিষয় ছিল কমার্স। তামিলনাড়ুর দ্বাদশের বোর্ড পরীক্ষার ফলাফ বের হতেই দেখা যায় নন্দিনী পেয়েছেন ৬০০ তে ৬০০। সোমবার ফলাফল প্রকাশের পরই তাঁর বাড়ি থেকে স্কুল সর্বত্রই খুশির হাওয়া।সেখান থেকে অর্থনীতি, তামিল, ইংরেজি, অ্যাকাউন্টেসি, কমার্স অ্যাকাউন্টেন্সি, কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন, এই প্রতিটি বিষয়ে নন্দিনী ১০০ তে ১০০ পেয়েছেন। বলছেন, চাপ ছিলনা কোনও পড়াশোনার ক্ষেত্রে। কোনও চাপ ছাড়াই তিনি পড়াশোনা করে গিয়েছেন।
3/4নন্দিনী বলছেন, ‘আমার পরিবারের যা অবস্থা, তাতে সেই অবস্থাই ছিল আমার কাছে পড়াশোনার ভালো ফল করার তাগিদ। পরিবার খুবই সমর্থন জুগিয়েছে আমাদের। তারা যতটা পেরেছে আমার জন্য করেছে, যাতে আমি ভালো পড়তে পারি।’ নন্দিনীর লক্ষ্য চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্সি নিয়ে পড়া।
4/4নন্দিনীর বাবার স্বপ্ন মেয়ে কোনও একদিন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষাতেও বসবে। তিনি বলছেন, ‘ছোট থেকে মেয়ে পড়াশোনায় ভালো। আমরা খুব খুশি তাঁর সাফল্যে।’ নন্দিনীর স্কুলের শিক্ষিকা অখিলা বলছেন, ‘শুধু পড়াশোনাই নয়, নন্দিনী ইংরেজি ও তামিলে দারুন ভালো আবৃত্তিও করতে পারে।’ সবমিলিয়ে এই ১৭ বছর বয়সীকে ঘিরে এলাকায় খুশির উৎসব। প্রতীকী ছবি