টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার সময় সঙ্গে করে রুবিক কিউব নিয়ে গিয়েছিলেন এক তরুণ। ইচ্ছা ছিল সেই টাইটানিকে বসে রুবিক কিউবের সমাধান করে বিশ্বরেকর্ড করবেন। কিন্তু হল কী শেষ পর্যন্ত?
আটলান্টিকের অতলে থাকা টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে মর্মান্তিক ঘটনা। সাবমেরিন দুর্ঘটনায় মারা যান পাঁচজন। এদিকে সেই সাবমেরিনের ভেতর যে সর্বকনিষ্ঠ আরোহী ছিলেন তার নাম সুলেমান দাউদ। বয়স মাত্র ১৯। মারা গিয়েছেন তিনিও।মৃত্যুর সময় সে গ্লাসগোর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল।
ঘটনার পর থেকেই সুলেমানে মা ক্রিস্টিন ও বোন এলিনা পোলার প্রিন্স নামের জাহাজে ছিলেন। প্রায় আট দিনে সমুদ্রে কাটিয়ে তারা ফেরেন। মিররের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে মিসেস দাউদ জানিয়েছিলেন তাঁরও ওই অভিযানে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আগের ট্রিপটা কোভিডের কারণে বাতিল হয়ে যায়।
সুলেমান আর শাহাজাদা সেই সাবমেরিনে চাপার আগে মিসেস দাউদ আর এলিনাকে বিদায় জানান। এদিকে মিসেস দাউদের দাবি তাঁর ছেলে ১২ সেকেন্ডে রুবিক কিউবের ধাঁধার সমাধান করতে পারত। তার নাম গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে ওঠা দরকার। সে সাবমেরিনেও এটা করতে চেয়েছিল।
তিনি বিবিসিকে জানিয়েছেন, ক্রু মেম্বাররাও বুঝতে পারেননি ভেতরে কী হতে চলেছে।
দ্য স্কটসম্যানের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সুলেমান দাউদ টাইটানিক দেখতে যাওয়ার ওই সাবমেরিনে সঙ্গে করে রুবিক কিউব নিয়ে গিয়েছিলেন। আর মৃত্যুর আগে তিনি ওই কিউবের ধাঁধার সমাধান করে বিশ্বরেকর্ড করেছিলেন। এমনটাই দাবি করেছেন তার মা।
তার বাবা শাহাজাদা ক্যামেরায় গোটা ঘটনা রেকর্ড করেছিলেন বলে পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে। এদিকে সাবমেরিন নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই তার উদ্ধারকারী অন্য জাহাজে ছিলেন সুলেমানের মা।
তিনি জানিয়েছেন, আমার যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেটা বাতিল হয়ে যায়। পরে সুলেমানের জন্য় জায়গা ছেড়ে দিই।
ছেলের সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ছেলে রুবিক কিউব খুব ভালোবাসত। সব সময় সঙ্গে এটা নিয়ে থাকত। সাবমেরিনেও এটা নিয়ে গিয়েছিল। ১২ সেকেন্ডে সে এটা করতে পারত। সে বিশ্বরেকর্ড করবে বলে ঠিক করেছিল।
কিন্তু পরেরটা আর জানা নেই কারোর..
তার মায়ের দাবি, ছেলে বলেছিল টাইটানিকে সমুদ্রের নীচে ৩৭০০ মিটার গভীরে সে কিউব সলভ করবে বলে জানিয়েছিল।