শুক্রবার থেকেই সীমান্তে উত্তেজনা। ভারত নেপাল সীমান্তের পিথোরাগড় জেলার পাহাড়ি গ্রাম ধারচুলা এলাকায় গত কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনার পারদ ক্রমে চড়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ৩৩ বছর বয়সী এক নেপালি অবৈধভাবে লোহার তার দিয়ে নদী পেরোনর চেষ্টা করছিলেন। সেই সময় তার কেটে তিনি নদীতে পড়ে যান। এরপর প্রবল স্রোতে তিনি ডুবে যান। এদিকে বন্ধুরাষ্ট্র নেপালের বাসিন্দাদের একাংশ অভিযোগ তুলেছেন, ভারতের সীমা সশস্ত্র বলের( এসএসবি) জওয়ান এই তার কেটে দিয়েছিলেন। সেকারণেই তিনি জলে পড়ে যান।
নেপালের স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে। জয়া সিং ধামি নামে ওই ব্যক্তি তারের সাহায্যে খরস্রোতা নদী পেরচ্ছিলেন। সেই সময় এসএসবির এক জওয়ান ওই তার কেটে দেন। এতেই ওই ব্যক্তি নদীতে পড়ে যান। প্রসঙ্গত দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় এভাবে নদীর দুই প্রান্তে তার বাঁধা হয়। এক্ষেত্রে একটা দিক ছিল ভারতের দিকে। অপরটি ছিল নেপালের দিকে। সেই তার দিয়েই নদী পেরোনর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে সীমান্তে এই ব্যবস্থাটি কার্যত অবৈধ বলেও গণ্য করা হয়।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই দারচুলাতে ভারত বিরোধী স্লোগান তুলতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তবে এসএসবির কমান্ডান্ট মহেন্দ্র প্রতাপ ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, আমাদের বাহিনীর সদস্যের বিরুদ্ধে তার কেটে দেওয়ার যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা সর্বৈব মিথ্যা। আমাদের দিকের কেউ এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন। নেপালের কয়েকজন সেদিন অবৈধভাবে নদী পেরিয়ে ভারতে আসার চেষ্টা করছিলেন। সেদিন তিনজন নদী পেরোনর চেষ্টা করেছিলেন। দুজন পেরিয়ে ভারতের দিকে চলে এসেছিলেন। তারাই তাড়াহুড়ো করতে যান। তখনই একজন নদীতে পড়ে যান। তবে এরপর নেপালের সশস্ত্র বাহিনী ও এসএসবি এলাকা যৌথ পরিদর্শন করেছেন। তবে নেপালের মুখ্য জেলা আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল হিন্দুস্তান টাইসম। কিন্তু কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।