প্রিয়াঙ্কা দোববর্মণ
ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোটের পর বিজেপির প্রধান বিরোধী দল হিসাবে উঠে এসেছিল তিপ্রা মোথা পার্টি। ত্রিপুরার রাজবংশের সন্তান তথা মোথা পার্টির প্রধান প্রদ্যোৎ দেববর্মার নেতৃত্বের এই পার্টিই এবার লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির জোটে শামিল হয়েছে। ত্রিপুরায় বিজেপি আইপিএফটি জোটে শামিল হওয়ার কথা তিপ্রা মোথা গতকালই ঘোষণা করেছে। এদিকে, তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রদ্যোতের পার্টি থেকে ২ জন বিধায়ক হলেন ত্রিপুরায় বিজেপির মানিক সাহা সরকারের মন্ত্রী।
লোকসভার আগে ত্রিপুরার রাজনৈতিক ক্যানভাসে অঙ্কের সমীকরণ পাল্টে প্রধান বিরোধী দল তিপ্রা মোথা যোগ দিয়েছে বিজেপির সরকারে। জানা গিয়েছে, তিপ্রা মোথা পার্টির দুই বিধায়ক অনিমেষ দেববর্মা ও বৃষকেতু দেববর্মা যোগ দিচ্ছেন ত্রিপুরার মানিক সাহা সরকারে। রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল শাসকপক্ষের দিকে চলে আসায়, কার্যত ত্রিপুরায় পাল্টে গিয়েছে রাজনৈতিক সমীকরণ। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্যদের উপস্থিতিতে দুই বিধায়ক রাজভবনে নিয়েছেন শপথ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন তিপ্রা মোথার প্রধান প্রদ্যোৎ কিশোর মাণিক্য দেববর্মা। নব নিযুক্ত মন্ত্রী অনিমেশ দেববর্মন বলেন, ‘ দায়িত্ব সবসময়ই আছে। একজন বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব ছিল এক ধরনের এবং একজন মন্ত্রীর দায়িত্ব ভিন্ন ধরনের। আমি আমার দায়িত্ব পালন করব।’ উল্লেখ্য, পেশাগতভাবে অনিমেষ দেববর্মা একজন কম্পিউটার সায়ান্স ইঞ্জিনিয়ার। রাজনীতিতে যোগের আগে তিনি এক কর্পোরেট অফিসে চাকরি করতেন। পরে তিনি ত্রিপুরা ফিরে এসে যোগ দেন রাজনীতিতে। ২০০৩ সাল থেকে তিনি ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোটে অপ্রতিরোধ্য তাঁর কেন্দ্রে। ২০২৩ সালেও খোয়াই জেলার আশ্রমবাড়ি এলাকা থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে তিনি দাপুটে জয় ছিনিয়ে নেন।
এদিকে, তিপ্রা মোথা পার্টির মূল দাবি হল গ্রেটার তিপরা ল্যান্ড। সেই দাবি নিয়ে পার্টির তরফে আরও এক নবনিযুক্ত মন্ত্রী বৃষকেতু বলছেন, ‘ বৃহত্তর তি পরাল্যান্ড আমাদের পার্টির এজেন্ডা। এখন, লোকেরা জিজ্ঞাসা করতে পারে এটি কখন হবে। দেখুন, ৫০০ বছরের সংগ্রামের পর তৈরি হল রাম মন্দির। আমাদের আন্দোলন শুরু হয়েছিল মাত্র তিন বছর থেকে। আমি শুধু পার্থক্য তুলে ধরলাম। তবে আমরা অবশ্যই আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যেতে পারি।’ এর আগে বিধায়ক বৃষকেতু দেববর্মা বিজেপির জোটশরিক আইপিএফটির সদস্য ছিলেন। গত ২০২২ সালে তিনি পার্টি ছেড়ে মোথা পার্টিতে যোগ দেন। সেখানে থেকে তিপ্রা মোথার দলীয় টিকিটে তিনি জয়ী হয়ে বিধায়ক হন। এবার তিনি ত্রিপুরার মন্ত্রী।