কোভিড টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক? রাজ্যগুলি কী করবে? আদালতে জবাব দিল কেন্দ্র

এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামাও দাখিল করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে যাতে কোভিডের সংক্রমণ আটকাতে বেশি সংখ্য়ক মানুষ টিকা নেন।

যাঁরা টিকা নেননি বা একটি ডোজ নিয়েছেন, তাঁদের ঝুঁকি অনেকটাই বেশি। সম্পূর্ণ টিকাপ্রাপ্তদের তুলনায় তাঁদের মৃত্যুর ঝুঁকি দ্বিগুণেরও বেশি ছিল। ফাইল ছবি : পিটিআই (PTI)

ভ্যাকসিন নেওয়া কি বাধ্যতামূলক? সেই সংক্রান্ত একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল বোম্বে হাই কোর্টে। এবার এনিয়ে  কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে বোম্বে হাইকোর্টে জানানো হয়েছে, বাধ্যতামূলক ভ্যাকসিন নিয়ে কোনও পলিসি নেই। এদিকে ভ্যাকসিন না নিলে লোকাল ট্রেনে, মলে, পাবলিক প্লেসে যাওয়া যাবে না বলে সরকারের তরফে যে কড়াকড়ি রয়েছে তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। ফিরোজ মিঠিবোরেওয়ালা ও ইউহান টেংরার তরফে জনস্বার্থ মামলায় দাবি করা হয়েছিল এই ধরনের কড়াকড়ি করা হলে তা মানুষের অধিকার খর্ব হতে পারে। কারণ অনেকের ভ্যাকসিন নেওয়া পছন্দ না হতে পারে।

এদিকে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল চিফ জাস্টিস দীপঙ্কর দত্ত ও জাস্টিস মাকরন্ড কার্নিকের বেঞ্চকে জানিয়েছেন, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট অনুসারে একটা জাতীয় নীতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু অতিমারি নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও প্ল্যান তৈরি হয়নি। পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলক কী না তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও নির্দিষ্ট গাইডলাইন বা পলিসি তৈরি করেনি। এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামাও দাখিল করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে যাতে কোভিডের সংক্রমণ আটকাতে বেশি সংখ্য়ক মানুষ টিকা নেন। পাশাপাশি কোভিড আটকাতে রাজ্যগুলি নিজেদের মতো করে বিধি জারি করতে পারে। 

 আইনজীবী অনিল অনতুরকর জানিয়েছেন, আবেদনকারীদের তরফে যেটা বলা হচ্ছে যে ভ্য়াকসিনেশন সংক্রমণকে আটকাতে পারে না এটা ভুলভাবে ব্যাখা করা হচ্ছে। যদি টিকা পাওয়া কোনও ব্যক্তি আক্রান্ত হন তবে তাঁর হাসপাতালে যাওয়ার প্রবণতা কমবে। আমাদের প্রচেষ্টা যাতে মানুষ অক্সিজেনের অভাবে না মারা যান। আমাদের অন্যান্য বিধিও মানতে হবে।