চরাচর ভাসানো জ্যোৎস্না নিয়ে সোমবার রাতের আকাশে উদ্ভাসিত হল পূর্ণিমার চাঁদ। নভেম্বরের শেষে ফের ‘সুপার মুন’ দেখার সুযোগ পাচ্ছেন বিশ্ববাসী। শীতের শুরুতে এই চাঁদকে ‘বিভার মুন’ বলেন উত্তর আমেরিকাবাসী।
পৃথিবীর প্রচ্ছায়া অতিক্রম করার পরে আজ রাতেই উজ্জ্বলতম হয়ে উঠছে চাঁদ। তার আগেই ঘটেছে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সেই চন্দ্রগ্রহণকে উল্লেখ করেছেন ‘পেনামব্রাল লুনার একলিপ্স’ নামে।
শনিবার রাত থেকেই এই বিশালাকৃতির চাঁদ আকাশে দেখতে পেয়েছেন বিশ্বের বহু মানুষ। সোমবার তার পূর্ণ প্রকাশ দেখা যাবে, তবে খুবই কম সময়ের জন্য।
ভারত ছাড়াও এই অপূর্ব দৃশ্যের সাক্ষী থাকছেন উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া এবং আংশিক এশিয়ার বাসিন্দারা। তবে তার আগের পর্যায়ে চন্দ্রগ্রহণ ভারত থেকে দেখা যায়নি।
নভেম্বরের পূর্ণিমাকে উত্তর আমেরিকার বাসিন্দাদের ‘বিভার মুন’ বলার পিছনে একটি অকাট্য কারণ রয়েছে। শোনা যায়, এই সময় থেকেই স্থানীয় ইঁদুর জাতীয় প্রাণী বিভাররা শীতের প্রকোপ থেকে বাঁচতে যথেষ্ট খাবার মজুত করে নিজেদের আস্তানায় ঢুকে পড়ে। আর তাদের ধরতে ফাঁদ পাতেন স্থানীয় পশম ব্যবসায়ীরা।
শীতের শুরুর এই পূর্ণিমাকে বিভিন্ন নামে ডাকেন বিশ্বের নানান দেশের মানুষ। শুধুমাত্র ইংরেজিভাষীরাই তাকে চেনেন কোল্ড মুন, উইন্টার মুন, ফ্রস্ট মুন, ওক মুন, মুন বিফোর ইয়ুল, চাইল্ড মুন নামে। এ ছাড়া ইল পোয়া এবং তাজাউংদায়িং ফেস্টিভ্যাল মুন নামেও তার পরিচিতি রয়েছে। ভারতে পুরাকাল থেকেই উত্তরাংশে কার্ত্তিক পূর্ণিমা এবং দক্ষিণাঞ্চলে কার্ত্তিকা দীপম পার্বণ গুরুত্বের সঙ্গে পালন করা হয়।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিভার মুন আকাশে দেখা যাওয়ার কিছু ক্ষণ আগে যে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ ঘটেছে, তাকে বলা হয় পেনামব্রাল লুনার একলিপ্স বা উপচ্ছায়া চন্দ্রগ্রহণ। এই সময় পৃথিবীর উপচ্ছায়ার মধ্যে দিয়ে চাঁদ যায়। ফলে চাঁদের ঔজ্জ্বল্য হ্রাস পায় এবং লালাভ রঙ ধারণ করে। পৃথিবীর আবহমণ্ডল থেকে প্রতিসৃত আলো চাঁদের উপর প্রতিফলিত হলে এমন লাল রং ধারণ করে।