চলতি বছরের ২৮ মে ঘটা করে উদ্বোধন হয়েছে ৬৪,৫০০ বর্গমিটার বিস্তৃত নতুন সংসদ ভবনটির। এবার শুরু হয়ে গেল নয়া ভবন থেকে সংসদের কাজ৷ প্রশংসা থেকে বিতর্ক কোনও কিছুই পিছু ছাড়েনি নতুন সংসদ ভবন সেন্ট্রাল ভিস্তার। কিন্তু কে রয়েছে এই সুন্দর সংসদ ভবনের নির্মাণের পেছনে? আসুন জেনে নেওয়া যাক সেই নির্মাতার গল্প। নির্মাণের পেছনে রয়েছেন এইচসিপি সংস্থার মুখ্য ডিজাইনার বিমল প্যাটেল। বিমল প্যাটেলের জন্ম ১৯৬১ সালের ৩১ অগস্ট, গুজরাটের আমদাবাদে। তিনি একাধারে দক্ষ স্থপতি, নগরবিদ এবং শিক্ষাবিদ হিসেবে পরিচিত। বিমল এই নতুন সংসদ ভবন সেন্ট্রাল ভিস্তা নির্মাণের ডিজাইন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
স্থাপত্য নির্মাণের ক্ষেত্রে প্যাটেলের এই অনুরাগের কৃতিত্ব স্পষ্টতই তার পিতা হাসমুখ চন্দুলাল প্যাটেলের। চন্দুলাল প্যাটেল ১৯৬০ সালে এইচসিপি ফার্মটি প্রতিষ্ঠা করেন। বিমলের শিক্ষাজীবনের ইতিহাস যদি দেখা যায়, তিনি আমদাবাদের সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল প্ল্যানিং এন্ড টেকনোলজি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষাগ্রহণ করেন। ১৯৮৪ সালে তিনি সেখান থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৮৮ সালের স্থাপত্য এবং শহর পরিকল্পনায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৫ সালে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নগর পরিকল্পনা বিষয়ে পিএইচডি করেন তিনি। বর্তমানে বিমল যেই সংস্থার প্রধান, সেই সিইপিটিতেই তিনি ছাত্রজীবন কাটিয়েছেন।
(আরও পড়ুন: Varanasi Budget Trip: বর্ষায় কম খরচে ঘুরে নিন বেনারস! দেখুন কীভাবে মাথাপিছু ৫-৭ হাজারে করবেন প্ল্যান)
বিমল প্যাটেল এই সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতির তুলে ধরেছেন। কেবল নয়া দিল্লিতে অবস্থিত সেন্ট্রাল ভিস্তাই নয়, বেনারসের কাশী বিশ্বনাথ ধাম, আমেদাবাদের সবরমতি রিভার পার্ক এবং পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মাস্টার প্ল্যানিংটির দায়িত্ব ছিলেন বিমল প্যাটেল। স্থাপত্যকার্যে অবদানের পাশাপাশি আমেদাবাদের সিইপিটি ইউনিভার্সিটিতে সভাপতি হিসেবেও নিয়োজিত রয়েছেন বর্তমানে। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সে নিজেই লেখাপড়া শিখেছিল একসময়। আরবান প্ল্যানিং-এর ক্ষেত্রে তার চোখ ধাঁধানো নকশা ও সামগ্রিক পরিকল্পনার প্রশংসার পঞ্চমুখ হয়েছে বহু ডিজাইনার থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই।