ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও কেন সংক্রমিত হচ্ছেন মানুষ? ব্যাখ্যা দিয়ে জানালেন ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডঃ কৃষ্ণা এল্লা।
তিনি বলেন, ‘ করোনার ভ্যাকসিন শুধু ফুসফুসের নীচের অংশ রক্ষা করতে সক্ষম। সেক্ষেত্রে ফুসফুসের উপরের অংশটি অরক্ষিতই থেকে যাচ্ছে। সেই ফাঁকই করোনার পথ প্রশস্ত করছে। সম্ভবত সেকারণেই ভ্যাকসিনের দু’টো ডোজ নেওয়ার পরও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।’ ভ্যাকসিনের এই সমস্যার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘ ভ্যাকসিন শুধুমাত্র আক্রান্তকে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেত পারবে। সেক্ষেত্রে প্রাণঘাতী হতে পারবে না ভাইরাসটি।’ তিনি আরও বলেন, ‘ টিকাকরণের পরও বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যাবহার করতে হবে সবাইকে।’
প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে গোটা দেশে। দিন দিন আরও মারাত্মক আকার ধারণ করছে করোনা। রোজ আক্রান্তের ও মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে। ওদিকে রাজ্যগুলোতে অক্সিজেন, রেমেডিসিভির ও ভ্যাকসিনের জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছে। যদিও বাইরে থেকে ভ্যাকসিন আমদানির উদ্যেগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। ১ মে থেকে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে প্রাপ্তবয়স্কদের করোনা টিকা দেওয়ার ঘোষণা করেছে কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, মার্চে ১৫ কোটি, এপ্রিলে ২০ কোটি ও মে মাসে ৩০ কোটি ভ্যাকসিন নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে ভারত বায়েটেক।