টিকাকরণ নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হল দিল্লি সরকারকে। এদিন এক শুনানি চলাকালীন উচ্চ আদালতের তরফে প্রশ্ন করা হয়, ৬ সপ্তাহের ব্যবধানের পর কি প্রথম ডোজ নেওয়া নাগরিকরা কোভ্যাক্সিন টিকার দ্বিতীয় ডোজ পাবেন? দিল্লি সরকার কি এই বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে পারবে? আদালত এদিন ভর্ত্সনার সুরে আরও বলে, 'যদি টিকার দ্বিতীয় ডোজ দিতে পারবেন না, তাহলে ধুমধাম করে টিকাকরণ শুরু করেছিলেন কেন?'
এদিন এক মামলার শুনানি চলাকালীন দিল্লির উচ্চ আদালতের বিচারপতি রেখা পল্লি এখটি নোটিশ জারি করে দিল্লি সরকারের কাছে জানতে চান, 'যাঁরা কোভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ পেয়েছেন, তাঁদের কি ৬ সপ্তাহের সময়সীমার মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ দিতে পারবে দিল্লি সরকার?'
এদিকে দিল্লি সরকারকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করার পাশাপাশি কেন্দ্রকে এদিন দিল্লি হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় যাতে সময় মতো কোভিশিল্ড এবং কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ রাজধানীতে সরবরাহ করা হয়। এদিকে এর প্রেক্ষিতে দিল্লির কালকাজির বিধায়ক তথা আপ নেত্রী অতিশি বলেন, 'আমরা কেন্দ্রের কাছে দাবি জানিয়েছিলাম যাতে ২ জুনের মধ্যে আমাদের চিকা সরবরাহ করা হয় যাতে আমরা দ্বিতীয় ডোজ দিতে পারি। তবে কেন্দ্র জানিয়েছে, তারা ১০ জুন টিকা সরবরাহ করবে। ১০ জুন অনেক দেরি। দিল্লি এখনও তাদের তরণ নাগরিকদের জন্য কোনও টিকা পায়নি কেন্দ্রের তরফে।'
উল্লেখ্য, টিকার অভাবে ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকাকরণ গত ৯ দিন ধরে বন্ধ রয়েছে রাজধানীতে। এই পরিস্থিতিতে প্রথম ডোজ নেওয়া অনেকের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার সময় পার হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে টিকা সরবরাহ বাড়াতে কেন্দ্র ইন্ডিয়ান ইমিউনলজিকাল লিমিটেড এবং হ্যাফকাইন বামো-ফার্মা কর্পোরেশনকে কোভ্যাক্সিন তৈরির নির্দেশ দিয়েছে।