নিশা আনন্দ
শান্তি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ ক্রমেই কমছে। গোটা বিশ্বজুড়ে যখন অস্থিরতা ক্রমশ বাড়ছে তখন এই পরিস্থিতি নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করছে বলে খবর। রাষ্ট্রসংঘের পরিসংখ্যান অনুসারে দেখা যাচ্ছে ২০২০ সালে রাষ্ট্রসংঘের নেতৃত্বে যে শান্তিপ্রক্রিয়া সেখানে অন্তত ২৩ শতাংশ নারী অংশগ্রহণ করতেন। আর ২০২১ সালে দেখা যাচ্ছে সেই প্রক্রিয়ায় মাত্র ১৯ শতাংশ নারী অংশগ্রহণ করছেন।
এদিকে সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে একাধিক ঘটনায় দেখা গিয়েছে, শান্তি প্রক্রিয়া অনেকটাই সফল হয় যখন সেখানে নারীদের অংশগ্রহণটি নিশ্চিত করা যায়। এক্ষেত্রে একটি বিষয় উঠে আসছে যে মানবাধিকারের রক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে নারীদের আসন যাতে সুরক্ষিত থাকে সেটা দেখা দরকার।
এদিকে রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে তালিবান অধিগৃহীত আফগানিস্তানে শান্তি ও সুরক্ষা যেমন বিঘ্নিত হয়েছে তেমনি নারীদের প্রতি বৈষম্য় আরও বেড়েছে। সব মিলিয়ে নারীদের জীবনে আরও গণ্ডগোল নেমে এসেছে।
সূত্রের খবর, অন্তত ২৯জন নারী মানবাধিকার কর্মী, সাংবাদিক, ও শ্রম অধিকার আন্দোলনের কর্মী নিহত হয়েছেন। তবে যথার্থ সংখ্যাটি ঠিক কত সেটা এখনও পরিষ্কার নয়।
এদিকে পরিসংখ্যান বলছে ২০২১ সালে সামরিক ক্ষেত্রে খরচ বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২.১ ট্রিলিয়ন। বিশেষত মানুষের সুরক্ষার জন্য়ই সামরিক খাতে এই বিপুল ব্যয় করা হচ্ছে। আর সেই নিরিখে নারীদের সংস্থার প্রতি ফান্ডিং ক্রমে কমছে। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে এই বিধ্বস্ত দেশগুলিতে নারীদের সংস্থায় ফান্ডিং কমে দাঁড়িয়েছে ১৫০ মিলিয়ন ।
রাষ্ট্রসংঘের মহিলা এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর সীমা বাহাউসের কথায়, বিশ্বশান্তিকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য় সমস্ত উদ্যোগের কেন্দ্রে নারীদের রাখা বাঞ্চনীয়। এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, নারীদের শান্তি ও সুরক্ষা বজায় রাখার ক্ষেত্রে নারীবাদী সংগঠনে ফান্ডিং করা হলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।