জয়ের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েও ড্র'তে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। সঙ্গে মাঠের বাইরে একগুচ্ছ সমালোচনায় বিদ্ধ হতে হচ্ছে। সেইসবের মধ্যে খেলোয়াড়দের চোটের জন্য ঘুরিয়ে আইপিএলকে দুষলেন অস্ট্রেলিয়ার কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার। আইপিএলের নির্ঘণ্ট নিয়েও প্রশ্ন তুললেন।
ল্যাঙ্গারের মতে, চলতি সিরিজে ভারত এবং অস্ট্রেলিয়ার খেলোয়াড়রা যে চোট-আঘাতে ভুগছেন, তাতে আইপিলের বড়সড় প্রভাব থাকতে পারে। ব্রিসবেনে চতুর্থ টেস্টের আগে ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘চলতি গ্রীষ্মে কত খেলোয়াড় চোটে পেলেন, তা দেখার বিষয়। আমার মনে হচ্ছে, এবারের আইপিএলের সূচি কারও জন্যই সম্ভবত উপয সময় হয়নি। বিশেষত এরকম একটি বড় সিরিজের আগে (আইপিএলের ধকল পড়েছে)। ’
এমনিতে প্রতি বছর এপ্রিল-মে'তে আইপিএল আয়োজিত হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের প্রকোপের কারণে তা পিছিয়ে সেপ্টেম্বর-নভেম্বরে হয়েছিল। সেখান থেকেই সরাসরি অস্ট্রেলিয়ায় পৌঁছেছিলেন দু'দলের ক্রিকেটাররা। তারপর দু'দলের একাধিক ক্রিকেটার চোট-আঘাতে ভুগেছেন। সাদা বলের সিরিজে চোট পেয়ে ছিটকে গিয়েছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। দুটি টেস্টও খেলতে পারেননি। সবথেকে বেশি ধাক্কা খেয়েছে ভারত। চোটের জন্য ছিটকে গিয়েছেন ইশান্ত শর্মা, ভুবনেশ্বর কুমার, মহম্মদ শামি, উমেশ যাদব, হনুমা বিহারী, কে এল রাহুল এবং রবীন্দ্র জাদেজা। চোটে ভুগছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, মায়াঙ্ক আগরওয়াল, ঋষভ পন্তরাও। অবস্থা এতটাই খারাপ যে ভারতের হাতে পুরো ফিট খেলোয়াড়ের সংখ্যা অত্যন্ত কম।
আইপিএল নিয়ে প্রশ্ন তুললেও ল্যাঙ্গার বলেন, 'আমি আইপিএলকে ভালোবাসি। আমি কাউন্টি ক্রিকেটকে যে চোখে দেখতাম, সেরকমভাবেই আইপিএলকে বিবেচনা করি। তুমি গিয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেল। যা তোমার উন্নতিতে অত্যন্ত সাহায্য করে। আমাদের খেলোয়াড়দের আইপিএলও সেরকম বিষয়। সেই টুর্নামেন্টের ফলে সাদা বলের ক্রিকেটে তাদের উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু সূচিটা সম্ভবত উপযুক্ত ছিল না। আমি ভাবছি যে পুরো গ্রীষ্মে দু'দলে যে চোট-আঘাত দেখছি, তাতে সেটির প্রভাব আছে কিনা।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।