একেবারে খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাড়ানো বললেও মনে হয় অত্যুক্তি হবে না। সবাই যখন ভেবে নিয়েছিল ম্যাচ হাতের নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে, তখন নাওমি ওসাকার ভাবনা ছিল একেবারে উল্টোটা। ভাবলেশহীন চিত্তে তিনি একেবারে অসম্ভবকে সম্ভব করে ফেললেন।দু দুটো ম্যাচ পয়েন্ট পিছিয়ে থেকে একেবারে ফিরে এলেন। অকল্পনীয় লড়াই লড়ে চলে গেলেন করোনা পরবর্তীতে বছরের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে।
কোয়ার্টার ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছেন আরেক মহিল টেনিসের কিংবদন্তি। মা হওয়ার পরে ধীরে ধীরে নিজের পুরনো ছন্দ যেন ফিরে পাচ্ছেন সেরেনা। আর সেই ফিরে পাওয়া ছন্দে ভর করেই মার্কিন তারকা সেরেনা উইলিয়ামস পৌছে গেলেন অজি ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে।
মেলবোর্নে চতুর্থ রাউন্ডের লড়াইয়ে বেলারুশের অ্যারিনা সাবালেঙ্কার মুখোমুখি হয়েছিলেন সেরেনা উইলিয়ামস। শুরুতেই র্যাকেটে ঝড় তোলেন সেরেনা। প্রথম থেকেই তিনি ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করেন । মার্কিন তারকা প্রথম সেট জিতে নেন ৬-৪ গেমে। তবে পরের সেটে দুরন্ত লড়াই দিয়ে ঘুরে দাঁড়ান অ্যারিনা। দ্বিতীয় সেট তিনি নিজের দখলে করলে ম্যাচ গড়ায় তৃতীয় সেটে। শেষ সেটে অবশ্য অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন সেরেনা উইলিয়ামস। ব্যাকহ্যান্ডের কারিশ্মায় ৬-৪ গেমে সেট জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে পদার্পণ করেন ২৩টি গ্র্যান্ডস্লামজয়ী।
এবার অবশ্য তাঁর লড়াই দ্বিতীয় বাছাই সিমোনা হ্যালেপের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচের জয়ীর সঙ্গে খেলা হবে ওসাকা বনাম সু ওয়েই-র ম্যাচের বিজয়ীর। ৩৫ বছর বয়সী সু-ওয়েই মূলত ডাবলস খেলেন। এবার সিঙ্গলসে কামাল করলেন তিনি। গেলেন কোয়ার্টার্সে। এর আগে এত বেশি বয়সে কেউ প্রথমবারের জন্য শেষ আটে যাননি। সেটা করে দেখালেন এই তাইওয়ানিজ প্লেয়ার। তবে ওসাকার বিরুদ্ধে লড়াই যে নিশ্চিত ভাবেই শক্ত হবে সেটা বলাই বাহুল্য। মহিলাদের ড্র এর অন্য দিকটায় কার্যত খালি মাঠ বিশ্বের এক নম্বর অ্যাশ বার্টির জন্য। তাঁর সামনে নেই কোনও প্রথম দশের প্লেয়ার। তবে এবছর অঘটন অনেক হয়েছে তাই নিশ্চিত ভাবেই আত্মতুষ্টিতে ভুগবেন না তিনি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।