দেখুন ২০২১ সালে যে সব বিতর্কিত ঘটনাগুলি নাড়িয়ে দেয় ক্রিকেটবিশ্বকে। শীর্ষে থাকবে সৌরভ-কোহলির দ্বন্দ্ব। তালিকায় রয়েছে মহম্মদ শামি, কুইন্টন ডি'ককের নামও।
1/5চার বছর আগে তাসমানিয়া দলের এক মহিলা কর্মীর সঙ্গে সেক্সচ্যাটের মাশুল দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট ক্যাপ্টেন্সি ছাড়তে হয় টিম পেইনকে। সংশ্লিষ্ট মহিলা কর্মীকে নিজের যৌনাঙ্গের ছবি পাঠিয়েছিলেন পেইন, যাতে রুষ্ট হয়েই তিনি পেইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
2/5বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগ কার্যত ইয়র্কশায়ার ক্রিকেটের ভিত নাড়িয়ে দেয়। সেই অভিযোগেই নাম জড়িয়ে যায় প্রাক্তন ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভনের। ইয়র্কশায়ারের ক্রিকেটার আজিম রফিককে ভন বলেছিলেন, ‘দলে খুব বেশি তোমাদের মতো লোক হয়ে যাচ্ছে, এটা নিয়ে কিছু একটা করতে হবে।’ ২০০৯ সালের সেই ঘটনা নিয়ে করা রফিকের অভিযোগ যদিও অস্বীকার করেন ভন। তবু শেষ রক্ষা হয়নি। বিবিসি-র হয়ে অ্যাসেজে ধারাভাষ্য দেওয়ার কথা ছিল মাইকেল ভনের। বর্ণবিদ্বেষের অভিযোগের জেরে মাইকেল ভনকে সেই দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয় বিবিসি।
3/5ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার মুভমেন্ট নিয়ে ব্যক্তিগত অবস্থানের জন্য বিশ্বকাপের ম্যাচে বাদ পড়তে হয় কুইন্টন ডি'কককে। টি-২০ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে হাঁটু গেড়ে বসে বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জাননিন ডি'কক। ফলে সেই ম্যাচে মাঠে নামা হয়নি তাঁর। পরের ম্যচগুলিতে অবশ্য তাঁকে মাঠে নামতে দেখা যায় এবং ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার মুভমেন্টকে সমর্থন করতে দেখা যায়।
4/5টি-২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের হারের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মহম্মদ শামিকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করা হয়। সেই ম্যাচে ভালো বল করতে পারেননি শামি। তাই মৌলবাদীদের আক্রমণের শিকার হতে হয় টিম ইন্ডিয়ার তারকা পেসারকে। পাকিস্তানের কাছ থেকে কত টাকা নিয়ে শামি খারাপ খেলেছেন বলে জানতে চাওয়া হয় এবং সেই সঙ্গে শামিকে পাকিস্তানে চলে যেতেও বলা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও ভারতীয় দল-সহ ভারতীয় ক্রিকেটমহল শামির পাশে দাঁড়ায়। শামিকে সমর্থন করেন ভারতীয় সমর্থকরাও।
5/5ভারতীয় তথা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এবছর সবথেকে বড় বিতর্ক দেখা দেয় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও বিরাট কোহলিকে ঘিরে। এমনিতেই জাতীয় নির্বাচকরা বিরাট কোহলিকে সরিয়ে রোহিত শর্মাকে ভারতের ওয়ান ডে ক্যাপ্টেন করা নিয়ে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের উপর চটে যান বিরাট অনুরাগীরা। তার উপর কোহলিকে টি-২০ ক্যাপ্টেন্সি ছাড়তে বারণ করেছিলেন বলে যে দাবি করেন সৌরভ, তা অস্বীকার করেন কোহলি নিজে। স্বাভাবিকভাবেই বোর্ড সভাপতিকে সরাসরি মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করেন কোহলি। সেই বিতর্কের আগুন এখনও নিভে যায়নি পুরোপুরি।