খাতায় কলমে অন্তত নক আউটের দৌড়ে টিকে থাকতে হলে এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জিততেই হত বেঙ্গালুরুকে। তবে ২-০ ব্যবধানে হেরে এ মরশুমের মতো তাদের সমস্ত আশা শেষ। অপরদিকে, আর এক পয়েন্ট পেলেই নক আউটে পৌঁছে যাবে এটিকে মোহনবাগান। এদিন ম্যারম্যারে প্রথমার্ধের একেবারে শেষ কিকে লিস্টন কোলাসোর দুর্ধর্ষ ফ্রি-কিকে এগিয়ে যায় এটিকে মোহনবাগান। ৮৫ মিনিটে সবুজ-মেরুনের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুন করেন মনবীর সিং। দ্বিতীয়ার্ধে বেঙ্গালুরু ম্যাচে ফেরার খুব বেশি প্রচেষ্টাও করেনি। গোটা ম্যাচে তারা একটিমাত্র শট তেকাঠির মধ্যে রাখতে পেরেছে।
ম্যাচ সেরা সন্দেশ
দুর্দান্তভাবে পিছন থেকে মোহনবাগান রক্ষণকে নিয়ন্ত্রণ করা ও ক্লিনশিট রাখার জন্য সন্দেশ ঝিঙ্গানকে ম্যাচ সেরার পুরস্কার দেওয়া হয়।
ম্যাচ শেষ
২-০ ব্যবধানে বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়ে নক আউটের দোরগোড়ায় এটিক মোহনবাগান।
৯০+৬ মিনিট- সুযোগ হাতছাড়া
কর্ণার থেকে বিদ্যাসাগর বেঙ্গালুরুর হয়ে গোল করার আরও একটি সুযোগ পান। তবে অল্পের জন্য তিনি শট গোলে রাখতে পারেননি।
৯০+৫ মিনিট- শট ব্লক
৩৫ গজ দূর থেকে বিদ্যাসাগর সিংয়ের শট ব্লক করে দেয় মোহনবাগান রক্ষণ।
৯০+২ মিনিট- শট সেভ
রোশন নাওরেমের ক্রস থেকে সুনীল ছেত্রীর বাঁ-পায়ের শট বেশ ভালভাবেই মোহনবাগান রক্ষণ ব্লক করে দেয়। ফিরতি বল থেকে রোহিত কুমারের শট বাঁচান অমরিন্দর।
৬ মিনিট ইনজুরি টাইম
নির্ধারিত ৯০ মিনিটের শেষে ৬ মিনিট ইনজুরি টাইম যোগ করা হল।
৮৯ মিনিট- বেঙ্গালুরুর বদল
বেঙ্গালুরুর হয়ে উদান্ত সিংয়ের জায়াগায় বিদ্যাসাগর সিং মাঠে নামলেন।
৮৯ মিনিট- মোহনবাগানের তিন বদল
সবুজ মেরুনের হয়ে জনি কাউকো, মনবীর ও কার্ল ম্যাকহিউয়ের বদলে কিয়ান নাসিরি, লেনি রডরিগেজ এবং গুরসিমরাত সিং মাঠে নামলেন।
৮৬ মিনিট- প্রবীরের প্রয়াশ
দূরপাল্লা থেকে বেশ ভালই শট নিয়েছিলেন মোহনবাগানের প্রবীর দাস। তবে তাঁর শট অল্পের জন্য গোলের ওপর দিয়ে চলে যায়।
৮৫ মিনিট- গোওওওওওওলললল!
রোহিত কুমারর খারাপ পাস থেকে পেনাল্টি বক্সের বাইরে বল পেয়ে যান মনবীর। তাঁর জোরালো শট লারার হাতে লাগলেও, তা গোলে ঢোকা থেকে রুখতে পারেননি বেঙ্গালুরু গোলরক্ষক। ২-০ এগিয়ে গেল সবুজ-মেরুন। বেঙ্গালুরুর মরশুম কার্যত শেষ।
৮০ মিনিট- মোহনবাগান এগিয়ে
নির্ধারিত সময়ের আর মাত্র ১০ মিনিট বাকি। এখনও লিস্টনের গোলে ১-০ এগিয়ে এটিকে মোহনবাগান। এই ম্যাচ হারলে বেঙ্গালুরুর নক আউটে যাওয়ার আশা শেষ হয়ে যাবে।
৭৯ মিনিট- পেনাল্টির আপিল খারিচ
কর্ণার ডিফেন্ড করতে গিয়ে হেডের বদলে ইয়াইয়ার হাতে বল লাগে। তিরি হ্যান্ডবলে পেনাল্টির আপিল করলেও, রেফারি সেইদিকে কর্ণপাত করেননি।
৭৪ মিনিট- লিওনের হলুদ কার্ড
শুভাশিসের বিরুদ্ধে মোহনবাগান পেনাল্টি বক্সে পড়ে গিয়ে পেনাল্টি আদায় করার চেষ্টা করায় হলুদ কার্ড দেখলেন লিওন অ্যাগুস্টিন।
৭১ মিনিট- ইয়াইয়ার হুলদ কার্ড
শুভাশিস বসুর বিরুদ্ধে খারাপ চ্যালেঞ্জের জন্য হলুদ কার্ড দেখলেন বেঙ্গালুরুর ইয়াইয়া।
৬৭ মিনিট- মোহনবাগানের বদল
গোলদাতা লিস্টন কোলাসোর বদলে মাঠে এলেন প্রবীর দাস।
৬৩ মিনিট- একগুচ্ছ বদল বেঙ্গালুরুর
আশিক, পরাগ, অজয় ও প্রিন্সের বদলে লিওন অ্যাগুস্টিন, ইয়াইয়া বানান, রোহিত কুমার ও নামগ্যাল ভুটিয়া বেঙ্গালুরুর হয়ে মাঠে নামলেন।
৬০ মিনিট- সন্দেশের ব্লক
উইং থেকে রোশনের বাড়ানো বল মোহনবাগান পেনাল্টি বক্সে সুনীলের পায়ে চলে আসে। সুনীল শট নিলেও এগিয়ে এসে তা ব্লক করে দেন সন্দেশ।
৫৮ মিনিট- রোশনের মরিয়া ব্লক
মনবীর এবং লিস্টনের দক্ষতা এবং গতি বেঙ্গালুরুকে সমস্যায় ফেলছে। আবারও মনবীর পেনাল্টি বক্সে বল পান। তবে এবার তিনি লিস্টনের উদ্দেশ্যে পাস বাড়ান, যা ঝাঁপিয়ে পড়ে ব্লক করে গোলের বাইরে পাঠান রোশন নাওরেম। রোশন বলটা মিস করলেই ফাঁকা গোলে ট্যাপ ইন করতে পারতেন লিস্টন।
৫৭ মিনিট- পোস্টে বল মারলেন লিস্টন
মিডফিল্ডে জনি কাউকো মোহনবাগানের হয়ে বল জিতে নিয়ে লিস্টনের উদ্দেশ্যে দুরন্ত থ্রু পাস বাড়ান। লিস্টনের শট লারাকে পরাস্ত করলেও তা পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
৫৪ মিনিট- অ্যালানের দুর্ধর্ষ ব্লক
প্রতিআক্রমণে মনবীর এবং লিস্টন, দুই জনেই বেঙ্গালুরু পেনাল্টি বক্সের দিকে ছুট লাগান। বেঙ্গালুরুর হয়ে ডিফেন্সে একমাত্র অ্যালান ছিলেন। মনবীর লিস্টনের জন্য পাস না বারিয়ে নিজেই গোল করার চেষ্টা করেন। তবে অ্যালান দারুণভাবে সেই শট ব্লক করে দেন। বড় সুযোগ হাতছাড়া করল এটিকে মোহনবাগান।
৫২ মিনিট- বেঙ্গালুরু রক্ষণের ভুল
গোল কিক থেকে পাস পেয়ে সরাসরি লিস্টনের পায়ে বল মেরে বসেন পরাগ। তবে পরাগের মারা শটের গতিটা অনেকটা বেশি থাকায় তা দখলে আনতে পারেননি লিস্টন। বল তাঁর পায়ে লেগে বেঙ্গালুরু গোলরক্ষক লারার দিকে চলে যায় এবং তিনি তা দস্তানাবদ্ধ করেন। লিস্টন বল নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেই কিন্তু স্কোরলাইন নিমেষে ২-০ বদলে দিতে পারতেন তিনি।
৫০ মিনিট- হলুদ কার্ড
প্রতিআক্রমণে লিস্টনকে রুখতে তাঁর হাত ধরে টান দেন সুনীল ছেত্রী। রেফারির কাছে সুনীলকে হলুদ কার্ড দেখানো ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
বেঙ্গালুরু এফসির বিরুদ্ধে ১-০ এগিয়ে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু করছে এটিকে মোহনবাগান। এই স্কোরলাইন ধরে রাখতে পারলেই নকআউটে নিজেদের জায়গা প্রায় পাকা করে ফেলবে এটিকে মোহনাবাগান। ম্যাচে কি ফিরতে পারবে বেঙ্গালুরু?
কোলাসোর ফ্রি-কিক
হাফ-টাইম
শেষ কিকে লিস্টন কোলাসোর গোলে ১-০ এগিয়ে গিয়েই প্রথমার্ধ শেষ করল এটিকে মোহনবাগান।
৪৫+২ মিনিট- কোলাসোর গোলাসো!
ফ্রি-কিক থেকে প্রথমার্ধের শেষ কিকে মরশুমের অষ্টম গোল করে ফেললেন লিস্টন কোলাসো। তাঁর ফ্রি-কিক বাঁচানোর কোনো সুযোগই পাননি বেঙ্গালুরু গোলরক্ষক লারা শর্মা। লিস্টনের শটে যেমন গতি ছিল, তেমনই তা শেষ মুহূর্তে দারুণ ডিপও করে। শেষমেশ তাঁর গোলেই ১-০ এগিয়ে গেল এটিকে মোহনবাগান।
২ মিনিট ইনজুরি টাইম
নির্ধারিত ৪৫ মিনিটে শেষে অতিরিক্ত দুই মিনিট ইনজুরি টাইম যোগ করা হল।
৪০ মিনিট- এটিকে মোহনবাগানের পরিবর্তন
প্রথমার্ধে চোট পেয়ে উঠে গেলেন হুগো বৌমাস। এমনিতেই রয় কৃষ্ণ, ডেভিড উইলিয়ামসরা নেই, বৌমাস উঠে যাওয়ায় ফরোয়ার্ডে সবুজ-মেরুনের সমস্যা বাড়ল। ফরাসি মিডফিল্ডারের জায়াগায় দীপক টাংরি এটিকে মোহনবাগানের হয়ে মাঠে নেমেছেন।
৩৯ মিনিট- অ্যালানের দুর্ধর্ষ ইন্টারসেপশন
বেঙ্গালুরুর পেনাল্টি বক্সে মনবীর-লিস্টনের ওয়ান টুতে বড় গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল এটিকে মোহনবাগান। একেবারে গোলের সামনে লিস্টন শট নেওয়ার ঠিক আগেই অ্যালান মনবীরের বাড়ানো বল ইন্টারসেপ্ট করে দেন। নাহলে নিঃসন্দেহে এটা গোল হত।
৩৬ মিনিট-লিস্টনের ফাইনাল পাস মিস
প্রতিআক্রমণ থেকে গোলের একটা সুযোগ তৈরি হতেই পারত। তবে লিস্টনের ফাইনাল পাস দারুণভাবে এগিয়ে এসে ব্লক করে দেন অ্যালান।
৩১ মিনিট- সুনীলের সুযোগ নষ্ট
কর্ণার থেকে দ্বিতীয় পোস্টে গোল করার একটা সুযোগ পেয়েছিলেন সুনীল ছেত্রী। তবে তাঁর হেডার ঠিকঠাক কানেক্ট না হওয়ায় তা গোলের উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।
৩০ মিনিট- সন্দেশের ভাল ক্লিয়ারেন্স
প্রতিআক্রমণ থেকে ভাল বিল্ড আপ করে বক্সে বেশ ভাল বল বাড়িয়েছিলেন ব্রুনো। তবে ইবারার কাছে বল পৌঁছনোর আগে হেডে বল ক্লিয়ার করে দেন সন্দেশ।
২৫ মিনিট- গোলশূন্য ম্যাচ
প্রথম ২৫ মিনিটে এখনও কোনো গোল হয়নি। দুই দলই উইং ধরে আক্রমণের চেষ্টা করছে। সুযোগ তৈরিতে একটু হলেও বেঙ্গালুরু এগিয়ে।
১৬-ক্লেইটনের শট
বক্সের বাইরে থেকে ব্রুনোর মতো ক্লেইটন সিলভাও শট নেন। তবে এটিকে মোহনবাগান গোলে অমরিন্দরকে তাঁর শট কোনোরকম সমস্যায় ফেলতে পারেনি। বল উপর দিয়ে চলে যায়।
১৫-ব্রুনোর দূরপাল্লার শট
বেশ দূর থেকে বেঙ্গালুরুর হয়ে ব্রুনো রামিরেজ গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন। তবে বল গোলের বেশ উপর দিয়েই চলে যায়।
১১ মিনিট- আশিকের দুর্ধর্ষ রান
মাঝমাঠ থেকে একাই বল নিয়ে প্রায় এটিকে মোহনবাগানের বক্সে ঢুকে গিয়েছিলেন আশিক। তবে তাঁকে একগুচ্ছ সবুজ-মেরুন ডিফেন্ডার একেবারে শেষে ঘিরে ধরে। তাঁর শট প্রীতম কোটালের হাতে লাগলেও, অল্প ব্যবধানের জন্যই সম্ভবত কোনো পেনাল্টি দেওয়া হয়নি।
৭ মিনিট- বড় সুযোগ হাতছাড়া বেঙ্গালুরুর
আশিক ক্রুণিয়ার ক্রস থেকে দ্বিতীয় পোস্টে গোল করার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন প্রিন্স ইবারা। তবে বেঙ্গালুরু ফরোয়ার্ডকে কোনো মোহনবাগান ফুটবলার চ্যালেঞ্জ না করলেও, তাঁর শট একদম অল্পের জন্য গোলের বাইরে দিয়ে চলে যায়। আরেকটু হলেই ১-০ এগিয়ে যেত বেঙ্গালুরু।
৫ মিনিট- দারুণ জায়গায় মোহনবাগানের ফ্রি-কিক
লিস্টন কোলাসোকে একেবারে বেঙ্গালুরু বক্সের একটু আগে ফাউল করেন অজয় ছেত্রী। তবে ফ্রি-কিক থেকে বল সোজা বেঙ্গালুরু গোলরক্ষক লারা শর্মার হাতে জমা দেন লিস্টন।
মাঝমাঠে খেলছেন সুনীল
স্ট্রাইকার হিসাবে নয়, এই ম্যাচে মাঝমাঠে আট নম্বরের ভূমিকায় খেলছেন সুনীল ছেত্রী।
ম্যাচ শুরু
বাঁ-দিক থেকে ডান দিকে চেনা সবুজ-মেরুন জার্সিতে আক্রমণ করছে এটিকে মোহনবাগান। সাদা জার্সিতে বিপরীত দিকে আক্রমণ শানাচ্ছে বেঙ্গালুরু এফসি।
প্রস্তুত সুনীল
বড় ম্যাচের জন্য বেঙ্গালুরু প্রথম এগারোয় ফিরিয়েছে কিংবদন্তি সুনীল ছেত্রীকে।
বেঙ্গালুরু দলে তিন বদল
গত ম্যাচ থেকে প্রথম একাদশে তিন বদল ঘটিয়ে মাঠে নামছে বেঙ্গালুরু এফসি।
এটিকে মোহনবাগান দলে এক বদল
গত ম্যাচের প্রথম একাদশ থেকে এক বদল ঘটিয়ে এই ম্যাচে মাঠে নামছে এটিকে মোহনবাগান। লেনি রডরিগেজের বদলে দলে এসেছেন আশুতোষ মেহেতা।
দুই দলের সাম্প্রতিক ফর্ম
কেরালা ব্লাস্টার্স ও ওড়িশা এফসির বিরুদ্ধে নাগাড়ে ড্র করে নক আউটে পৌঁছনোর পথ কঠিন করে ফেলেছে এটিকে মোহনবাগান। ১৭ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে আইএসএল তালিকার তিন নম্বরে রয়েছে তারা। এক ম্যাচ বেশি খেলে চারে থাকা মুম্বইও সমান পয়েন্টে রয়েছে। অপরদিকে, ১৮ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় ছয়ে রয়েছে বেঙ্গালুরু এফসি। প্রথম চারে পৌঁছতে দুই দলের কাছে জয় এবং জয়ই একমাত্র রাস্তা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।