সদ্য ক্লাব-ইনভেস্টর সমস্যার জট কেটে দল গঠনের কাজ শুরু করেছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল, এর মধ্যেই আইএফএ-র সিদ্ধান্তে মাথায় বাজ পড়ার উপক্রম তাদের। কলকাতা ফুটবল লিগে খেলার কথা দিয়েও কথার খেলাফ করে টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ না করায়, ইস্টবেঙ্গল ও এটিকে মোহনবাগান, দুই প্রধানেরই সেন্ট্রালাইজড রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম আটকে দিল আইএফএ।
সেন্ট্রালাইজড রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম না খুললে দলে কোনো নতুন ফুটবলারকে সই করানো যাবে না। এটিকে এম্বির ইতিমধ্যেই মজবুত দল থাকলেও, আসন্ন মরশুমের জন্য দল গড়া সবে শুরু করেছে লাল-হলুদ বাহিনী। ফলে এই সিদ্ধান্তে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। অবশ্য সমস্যার সূত্রপাত কিন্তু দুই প্রধানের সিদ্ধান্ত থেকেই।
দুই প্রধানই প্রথমে কলকাতা ফুটবল লিগে খেলতে রাজি হয় এবং সেই কথা মাথায় রেখে তাঁদের সুবিধা অনুযায়ীই টুর্নামেন্টের দিনক্ষণ ঠিক করা হয়। তবে গতকাল এটিকেএম্বির বিরুদ্ধে কল্যাণীতে ম্যাচে ওয়াকওভার পেয়ে যায় জর্জ টেলিগ্রাফ। আগামীকাল ভবানীপুরের বিরুদ্ধে খেলা ইস্টবেঙ্গলের। তবে দল তৈরির কাজ পুরো না হওয়ায় সিএফএলে যে লাল-হলুদ ব্রিগেড খেলবে না, তা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এরপরেই বিগড়েছেন আইএফএ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায়। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সূচিতে কোন পরিবর্তন হবে না। দুই প্রধানই আইএফএ-র অনুমোদিত ইউনিট। তাদের এহেন হঠকারিতা ও কথার খেলাফ করার জন্য কঠোর শাস্তি দেওয়ার উদ্দেশ্যেই দুই প্রধানের সিআরএস বা নতুন খেলোয়াড় সই করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়।
ট্রান্সফার উইন্ডো শেষ হতে হাতে বাকি আর মাত্র একদিন। তার মধ্যে গোদের ওপর বিষফোঁড়া এই শাস্তি। সব মিলিয়ে আজ ও কাল বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের। সবুজ-মেরুন শিবিরের সব ফুটবলারদের রেজিস্ট্রেশন করানো হয়ে গেলেও এই নিয়ম বহাল থাকলে শেষ মুহূর্তে নতুন ফুটবলার সই করার সম্ভাবনা নেই তাদেরও। অবশ্য সোমবার (৩০ অগস্ট) বিকেলের বৈঠকেই এই সমস্যার সমাধান মিললেও মিলতে পারে।