প্রথম রাউন্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো শক্তিশালী দলকে ছিটকে দিয়ে সুপার টুয়েলভে জায়গা করে নিয়েছে আয়ারল্যান্ড। ২টি ম্যাচে রান তাড়া করে জয় তুলে নেওয়া আইরিশদের যদিও এবার কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়তে হবে। আপাতত দেখে নেওয়া যাক তাদের শক্তি-দুর্বলতা।
আয়ারল্যান্ডের শক্তি:-
১. বেশ কিছুদিন ধরেই আয়ারল্যান্ডের স্কোয়াডে বড় কোনও রদবদল নেই। সুতরাং আইরিশ তারকারা দীর্ঘদিন ধরে একজোট হয়ে মাঠে নামছেন। ফলে দলের মধ্যে তাঁদের বোঝাপড়া দুর্দান্ত।
২. সন্দেহ নেই পল স্টার্লিং আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিং বিভাগের প্রধান স্তম্ভ। তবে ক্যাপ্টেন অ্যান্ডি ছাড়াও ব্যাট হাতে দলকে নির্ভরতা দিতে অভ্যস্থ টাকার, টেকটর, ক্যাম্ফাররা।
৩. ক্যাম্ফার বড় মঞ্চে একাধিকবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন। জোস লিটল টি-২০ ক্রিকেটে দলের আস্থাভাজন।
৪. ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ লিগ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে বেশ কিছু আইরিশ ক্রিকেটারের। সেই অভিজ্ঞতা তারা বিশ্বকাপের মঞ্চে কাজে লাগাবেন নিশ্চিত।
৫. প্রথম রাউন্ডে স্কটল্যান্ড ও দু'বারের টি-২০ বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে আসায় সুপার টুয়েলভের লড়াইয়ে বাড়তি আত্মবিশ্বাসী হয়ে মাঠে নামতে পারবে আয়ারল্যান্ড।
আয়ারল্যান্ডের দুর্বলতা:-
১. ধারাবাহিকতার অভাব রয়েছে আইরিশদের পারফর্ম্যান্সে। স্টার্লিংরা শক্ত ভিত গড়তে না পারলে বড় রানের ইনিংস গড়ে তোলা মুশকিল তাদের পক্ষে। প্রথম সারির বড় দলগুলির মোকাবিলা করতে হলে আয়ারল্যান্ডকে বড় ইনিংস গড়ে তুলতে হবে নিশ্চিত।
২. টেস্ট খেলিয়ে দেশগুলির বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলার সুযোগ কম। তাই মাঠে নেমে তাদের শক্তি-দুর্বলতা যাচাই করার উপায় নেই আইরিশদের কাছে। সেকারণেই বিশ্বের প্রথম সারির দলগুলিকেও অচেনা প্রতিপক্ষ বলেই মনে হবে আয়ারল্যান্ডের।
৩. চাপের মুখে গুটিয়ে থাকার মানসিকতা চোখে পড়ে আইরিশদের খেলায়। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খোলস ছেড়ে বেরিয়ে তেমন একটা ভয়ডরহীন ক্রিকেট খলতে দেখা যায় না আয়ারল্যান্ডকে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।