মরশুমের প্রথম ম্যাচে অল্পের জন্য হাতছাড়া হয়েছিল ঐতিহাসিক জয়। অলরাউন্ডার ক্রিস মরিসের দাপটে দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারিয়ে এ মরশুমের প্রথম দু'পয়েন্ট ঘরে তুলল রাজস্থান রয়্যালস। একসময় দুর্লভ মনে হওয়া ম্যাচকে নিজেদের নামে করে রাজস্থান প্রমাণ করল যে কোন দলকে টক্কর দিতে তাঁরাও প্রস্তুত।
টুর্নামেন্টের অন্যতম শক্তিশালী দল দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে ১৪৮ রান তাড়া করতে নেমে নড়বড়ে দেখায় সঞ্জু স্যামসনরা। ৯.২ ওভারে মাত্র ৪২ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে প্রথমেই বিপাকে পড়ে রয়্যালস। ডেভিড মিলার সাজঘরে ফিরে গেলে কাজটা আরও কঠিন হয়ে যায়। ঠিক তখনই ব্যাট হাতে জ্বলে ওঠেন তাঁরই স্বদেশীয় ক্রিস মরিস। বল হাতে তেমন সফল না হলেও মুশকিল পরিস্থিতিতে চারটি ছয় দিয়ে সাজানো ১৮ বলে ৩৬ রানের ইনিংসে মরিস বোঝালেন নিলামে তাঁকে ঘিরে কেন এত মরিয়া ছিলেন রাজস্থান কর্মকর্তারা।
ইনিংসের শুরুতে স্লো উইকেটে ব্যাট বলে সঠিক সম্পর্ক হচ্ছিল না মরিসের। তবে ১৯তম ওভারে কাগিসো রাবাডা বলে আসতেই জ্বলে ওঠেন মরিস। স্বদেশীয় রাবাডার বল পাঠান দর্শকশূণ্য গ্যালারিতে। চতুরতা এবং অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বড় শটের পাশাপাশি এক দু'রান করে নিয়ে অনায়াসেই দু'বল বাকি থাকতে দলকে জয় এনে দেন আইপিএল ইতিহাসের সবচেয়ে দামী ক্রিকেটার। পাশাপাশি নিজের জায়গা করে নেন মহেন্দ্র সিং ধোনি, আন্দ্রে রাসেলদের নিয়ে তৈরী এক অভিনব তালিকায়।
শেষ দু'ওভারে মরিসের ব্যাট থেকে আসে মোট ২৯ রান, যা আইপিএল ইতিহাসে বিজয়ী দলের হয়ে ম্যাচের শেষ ১২ বলে করা সর্বোচ্চ রানের তালিকায় তৃতীয় সর্বাধিক। তাঁর আগে রয়েছে একমাত্র ধোনির ২০১০ সালে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের (বর্তমানে পঞ্জাব কিংস) করা ৩০ রান। তালিকায় পাঁচ নম্বরে রয়েছেন কেকেআর তারকা রাসেল, ২০১৯ সালে আরসিবির বিরুদ্ধে করা ২৮ রানের সুবাদে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।