শুভব্রত মুখার্জি
আইপিএলের ১৪তম মরশুমে আটটি ফ্র্যাঞ্চাইজির গড় বয়সের দিক থেকে সবথেকে নবীনতম দল দিল্লি ক্যাপিটালস। একাধিক ভারতীয় এবং বিদেশি নবীন প্রতিভাবান ক্রিকেটার রয়েছেন এই ফ্র্যাঞ্চাইজিতে। এই মরশুমের আইপিএল শুরুর আগেই তাদের রেগুলার অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার গুরুতর চোট পান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একদিনের সিরিজ চলাকালীন ফিল্ডিং করতে গিয়ে তার বাম কাঁধের হাড় সরে যায়।
যার ফলে ইংল্যান্ড সিরিজের বাকি ম্যাচগুলো থেকে ছিটকে যান তিনি। পরবর্তীতে স্ক্যানের পরে তিনি যে আসন্ন আইপিএলের মরসুমেও আর খেলতে পারবেন না তা জানিয়ে দেওয়া হয়। তারপরেই দলের ম্যানেজমেন্ট অধিনায়কত্বের গুরুদায়িত্ব তুলে দেয় ভারতের প্রতিভাবান উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ঋষভ পন্তের হাতে। একে কম বয়সের অধিনায়ক, তার উপরে মারকুটে স্বভাবের ব্যাটসম্যান, স্বাভাবিকভাবেই পন্তের অধিনায়কত্বে যে এক নয়া 'লুকের' দিল্লিকে দেখা যেতে চলেছে, তা বলাই বাহুল্য। এই অবস্থায় একনজরে দেখে নেওয়া যাক দিল্লি দলের শক্তি-দুর্বলতার জায়গাগুলো।
∆ শক্তি :-
আইপিএলের যতগুলো দল আছে, তার মধ্যে সবথেকে বেশি ভারতীয় প্রথম সারির ক্রিকেটার খেলেন দিল্লি দলের হয়ে। শিখর ধাওয়ান, পৃথ্বী শ, আজিঙ্কা রাহানে, রবিচন্দ্রন অশ্বিন, অমিত মিশ্র, অক্ষর প্যাটেল, ঋষভ পন্ত, ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদবরা যে কোনও দিনে যে কোনও খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। আমিরশাহি আইপিএল ধাওয়ানের জন্য ছিল এক দুরন্ত জার্নি। এই প্রতিযোগিতায় তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন। পৃথ্বী শ'র ব্যাট হাতে খারাপ ফর্মের অনেকটাই ভরপাই করে দিয়েছিলেন তিনি। পৃথ্বী এইবছর বিজয় হাজারেতে ব্যাট হাতে অসাধারণ ফর্মে থাকার পরে এই টুর্নামেন্ট খেলতে নামবেন যা নিঃসন্দেহে দিল্লি ভক্তদের জন্য সুখবর। তাদের ইনিংস ভালোভাবে শেষ করার জন্য রয়েছেন পন্ত, স্টইনিসের মতো পাওয়ার হিটার। এনরিক নকরিয়া, কাগিসো রাবাদার মতো পেসারের উপস্থিতি দিল্লি দলের সবচেয়ে বড় শক্তি।
∆ দুর্বলতা :-
মিডল অর্ডারে শ্রেয়স আইয়ারের অনুপস্থিতি অবশ্যই তাদের পক্ষে বড় সেটব্যাক। শ্রেয়সের অধিনায়কত্বও মিস করবে দিল্লি দল। পন্তের উপযুক্ত ব্যাকআপ উইকেটরক্ষকের অনুপস্থিতি দিল্লি দলের অন্যতম চিন্তার কারণ। কোনও কারণে শেষ মরসুমের মতো পন্ত চোট পেলে ভেঙে যেতে পারে টিমের ব্যালান্স।
∆ সুযোগ :-
তিন ভারতীয় ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে এই আইপিএল অগ্নিপরীক্ষা হতে চলেছে। অধিনায়ক হিসেবে পন্ত মুখিয়ে থাকবেন ভালো ফল করতে। আগের মরশুমের ব্যর্থতা কাটিয়ে ব্যাট হাতে রান করতে মুখিয়ে থাকবেন পৃথ্বী শ। আগের মরশুমে সেভাবে সুযোগ না পাওয়া রাহানে চাইবেন পারফরম্যান্সের মধ্য দিয়ে তাঁর গুরুত্ব ফের প্রমান করতে।
∆ বিপদ :-
চোট-আঘাত আগের মরশুমে খুব ভুগিয়েছে দিল্লিকে। চোটের জন্য গোটা মরশুমে খেলতে পারেননি ইশান্ত শর্মা। চোট পেয়ে কয়েকটা ম্যাচ খেলার পরেই ছিটকে যেতে হয় অমিত মিশ্রকে। ফলে এই বিষয়ে এবার বিশেষ করে যত্নশীল হতে হবে দিল্লিকে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।