নতুন বছরেই অবসর গ্রহণ করতে চলেছেন লিয়েন্ডার পেজ। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে বুধবার রাতে এই ঘোষণা করেন দেশের সফলতম টেনিস তারকা।
বছরশেষে নিজের বর্ণাঢ্য কেরিয়ারে যবনিকাপাতের পূর্বাভাস করলেন ছেচল্লিশ বছয় বয়েসি লিয়েন্ডার। পেশাদার টেনিস সার্কিট থেকে আগামী বছরেই তিনি অবসরগ্রহণ করতে চলেছেন বলে জানিয়েছেন।
২০২০ সালই হতে চলেছে ভারতীয় টেনিস ইতিহাসের উজ্জ্বলতম নক্ষত্রের বিদায় মরশুম। আর বিদায়ী মরশুমকে স্মরণীয় করে রাখতে আরও একবার গর্জে উঠতে চেয়েছেন দেশের সর্বকালের সেরা টেনিস তারকা।
বুধবার তিনি টুইট করেন, ‘বিদায় নেওয়ার আগে আরও একবার জ্বলে উঠতে চেয়ে ভক্তদের প্রতি তাঁর বার্তা, ‘২০২০ সাল আবেগপূর্ণ হতে চলেছে, এবং আমি চাই আপনারা সকলে আমার সঙ্গে গর্জে উঠুন। আপনাদের সিংহহৃদয় হয়ে থাকতে পেরে সম্মানিত বোধ করছি।’
ডাবলস বিশারদ হিসেবেই তাঁকে চেনে টেনিসবিশ্ব। দীর্ঘ তিরিশ বছর পেশাদার সার্কিটে ঝলমল করা লিয়েন্ডারের সংগ্রহে রয়েছে ১৮টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম ডাবলস জয়। এর মধ্যে রয়েছে পুরুষদের ডাবলস খেতাব ৮টি এবং মিক্সড ডাবলস খেতাব ১০টি।
ডেভিস কাপের ইতিহাসেও স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে তাঁর নাম। এই প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ সংখ্যক ম্যাচ জেতার কৃতিত্ব তাঁরই। গত নভেম্বর মাসে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচ জিতে তিনি ভেঙেছেন ইতালির নিকোলা পিয়েত্রাঞ্জেলির বিশ্বরেকর্ড।
২০১০ সালে উইম্বলডন ডাবলস খেতাব জিতে তিন ভিন্ন দশকে একটি করে গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ের বিরল রেকর্ড গড়েছেন কলকাতার ছেলে এবং সেই সূত্রে টেনিস ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছেন কিংবদন্তী রড লেভারের পরে দ্বিতীয় স্থানে।
ডাবল বিশেষজ্ঞের লেবেল গায়ে সেঁটে বসলেও সিঙ্গলসেও লিয়েন্ডারের অবদান মনে রাখার মতো। ১৯৯৬ সালে অ্যাটলান্টা অলিম্পিক্স থেকে তিনি ব্রোঞ্জজ পদক জেতেন, যা ভারতের টেনিস জগতে একমাত্র অলিম্পিক পদক হিসেবে চিরউজ্জ্বল। এ ছাড়া, তিনিই একমাত্র ভারতীয় টেনিস খেলোয়াড়, যিনি সাতটি পৃথক অলিম্পিকে অংশগ্রহণ করেছেন।
খেলোয়াড় জীবনে পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার, খেতাব ও সম্মান। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল খেল রত্ন, অর্জুন, পদ্মশ্রী ও পদ্মভূষণ।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।