পি সেন ট্রফির ফাইনালে ভবানীপুরের বিরুদ্ধে জিততে হলে মোহনবাগানের প্রয়োজন ১২ বলে ১৩ রান। কিন্তু তাদের হাতে তখন ছিল মাত্র একটি উইকেট। এমন অবস্থায় মোহনবাগানের সকল ভক্ত হাতের নখ কামড়াতে শুরু করেছে। কী হয়, কী হয় অবস্থা। এর মাঝেই ৪৯তম ওভারটির একটি বলেও রান নিলেন না মোহনবাগানের ব্যাটাররা। যা দেখে টেনশন আরও বাড়তে শুরু করে। হাতে রয়েছে ছয়টি বল, মোহনবাগানকে ম্যাচ জিততে হলে করতে হবে ১৩ রান। তখনই আসে ম্যাচে নতুন মোড়। হঠাৎ দেখা যায় মোহনবাগানের ব্যাটার হাত তুলে সাজঘরের দিকে এগিয়ে আসছে।
কী হল বিষয়? তাহলে কি মোহনবাগান জিতেগেছে, নাকি অন্য কিছু কারণ তখনও স্কোর বোর্ডে ১৩ রানের দরকারা। অনেকে ভাবতে শুরু করেছিলেন হয়তো বাগানের ব্যাটার পারবেন না বলেই মাঠের বাইরে চলে আসছেন। কিন্তু তখনই দেখা যায় ইডেনের মাঠে দৌড়ান শুরু করে দিয়েছেন মোহনবাগানের ভক্তরা। সবুজ মেরুন ভক্তরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে গিয়েছেন। আসলে তারা খবরটা পেয়ে গিয়েছিল যে মোহনবাগান পি সেন ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়ে গিয়েছে। কারণ মোহনবাগান ৪৯ ওভারের পরে ১৩ রান পেনাল্টিতে পেয়েছিল। আর এই ১৩ রান তাদের স্কোর বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত হতেই ১ ওভার বাকি থাকতেই ১ উইকেটে ম্যাচ ও ট্রফি জিতে নেয় মোহনবাগান।
আসলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভবানীপুরকে বোলিং ইনিংস শেষ করতে হত। কিন্তু সেই সময় পেরিয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময় ধরে বল করার জন্য ১৩ রান পেনাল্টিতে পায় মোহনবাগান। আর এই কারণেই বা বলা যেতে পারে এই নিয়মের জন্যই ভবানীপুরের বিরুদ্ধে হারা ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় মোহনবাগান।
ম্যাচের কথা বললে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৩৫২ রান তোলে ভবানীপুর। জবাবে ৪৯ ওভারে মোহনবাগান তোলে ৩৪০ রান। যদিও তারা ১২ রান পিছিয়ে ছিল, তবু পেনাল্টিতে ১৩ রান পেয়ে যাওয়ায় ম্যাচ জিতে নেয়। এক উইকেটে ভবানীপুরকে হারিয়ে মোহনবাগান পি সেন ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায়। পেনাল্টিতে রান পাওয়ার কারণ হল ভবানীপুর নির্ধারিত সময়ে তাদের ৫০ ওভার শেষ করতে পারেনি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।