India vs Australia 2nd ODI: ভারতীয় ক্রিকেটারদের শরীরি ভাষা দেখেই বোঝা যাচ্ছিল যে, বিশাখাপত্তনমে হারার আগেই হেরে বসে টিম ইন্ডিয়া।
1/5সীমিত ওভারের হোক অথবা টেস্ট ম্যাচ, ক্রিকেটে টসের বড় প্রভাব দেখা যায় হামেশাই। অনেক সময়ই টস ম্যাচের নিয়ন্ত্রক হয়ে দাঁড়ায়। বিশাখাপত্তনমেও কোথাও একটা টস প্রভাব ফেলে ম্য়াচের ফলাফলে। আসলে বৃষ্টির জন্য গত কয়েকদিন গোটা মাঠ ঢাকা ছিল পলিথিনের নীচে। ম্যাচ শুরুর আগে পর্যাপ্ত রোদ না পড়ায় শুরুর দিকে পিচে আদ্রতা ছিল। টস জিতে অস্ট্রেলিয়া ফিল্ডিং নেয় সেকারণেই। অজি পেসাররা সুবিধাজনক পরিস্থিতি কাজে লাগান দারুণভাবে। ছবি- বিসিসিআই।
2/5এমনটা নয় যে বিশাখাপত্তনমে পেসারদের জন্য বিস্তর সাহায্য ছিল। আসলে অল্প রানে আউট হওয়ার পিছনে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ভুল শট নির্বাচনকেও দায়ি করতে হয়। শুভমন গিল প্রথম ওভারেই শরীর থেকে দূরে শট খেলে আউট হন। রোহিত ও কোহলি শুরুর দিকে দারুণ কিছু শট খেলেন। গিল যদি রোহিতের সঙ্গে জুটি বেঁধে বড়সড় ভিত গড়তে পারতেন, তবে ছবিটা অন্যরকম হতেও পারত। ছবি- এএফপি।
3/5একা গিলই নন, শরীর থেকে দূরে শট খেলে আউট হন রোহিত শর্মা, হার্দিক পান্ডিয়ারাও। কোহলি বলের লাইন মিস করে এলবিডব্লিউ হন। সূর্যকুমার ডাহা ফেল। জাদেজা, কুলদীপ, মহম্মদ শামিরা নিজেদের উইকেটের মূল্য দেননি। সুতরাং বিশাখাপত্তনমের পিচে ১১৭ রানে অল-আউট হওয়ার পিছনে ভারতীয় ব্য়াটসম্যানদের ব্যর্থতাই দায়ি। পিচে যে কোনও জুজু ছিল না, সেটা বুঝিয়ে দেন দুই অজি ওপেনার মিচেল মার্শ ও ট্রেভিস হেড। ব্যাট হাতে রীতিমতো ঝড় তোলেন দু'জনে। ছবি- পিটিআই।
4/5হতে পারে লড়াই করার মতো পুঁজি ছিল না ভারতীয় বোলারদের হাতে। তবে পালটা লড়াইয়ের বিন্দুমাত্র লক্ষণ দেখা যায়নি শামি-সিরাজদের বোলিংয়ে। যে পিচে অস্ট্রেলিয়ার তিন পেসার সাকুল্যে ১৯ ওভার বল করে ১০টি উইকেট তুলে নেন, সেখানে অজি শিবিরে প্রাথমিক ধাক্কা দিতেও ব্যর্থ ভারতের দুই পেসার। ছবি- এএনআই।
5/5ভারতীয় দলের নেতিবাচক মানসিকতাকেও বিশাখাপত্তনমের লজ্জাজনক হারের কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। শুরুতে পরপর উইকেট হারানোর পরেই টিম ইন্ডিয়া কার্যত হাল ছেড়ে দেয়। চোয়ালচাপা লড়াইয়ের মানসিকতা দেখা যায়নি কারও মধ্যে। সবাই কার্যত স্রোতে গা ভাসান। রোহিতদের শরীরি ভাষাতেই স্পষ্ট ছিল যে, হারার আগেই হেরে বসেছিল টিম ইন্ডিয়া। ছবি- এপি।