শুভব্রত মুখার্জি
ইউরোপীয় সুপার লিগ দিনের আলো দেখার আগেই মুখ থুবড়ে পড়েছে। একের পর এক ইউরোপের বড় ক্লাব বিরোধী জোট থেকে বেরিয়ে আসার ফলেই সুপার লিগ আর দিনের আলো দেখতে পায়নি।
অফিসিয়ালি কিছু না জানা গেলেও সুপার লিগের অন্দরমহলের খবর ছিল, করোনার জেরে আর্থিক কারণে ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্লাবগুলো। একেবারে ত্রাহি ত্রাহি রব যাকে বলে। এই অবস্থায় কিছুটা বাধ্য হয়েই তারা নিজেদের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতেই এই পথে হাঁটতে চেয়েছিল বলে শোনা যাচ্ছে।
তবে ক্লাবগুলোর কাছে এখন সব থেকে বড় স্বস্তির খবর হল, তারা যতই বিরোধী জোট তৈরি করুক না কেন, বার্সেলোনা,রিয়াল মাদ্রিদ সহ ইউরোপের প্রথম সারির ১২টা ক্লাবকে শাস্তি দেওয়ার পক্ষপাতী নয় ফিফা । প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, এই ১২টি ক্লাবকে শাস্তি দেওয়া মানে, ফুটবলার, কোচ ও সমর্থকদের বঞ্চিত করা। যা একেবারের গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত নয়।
প্রসঙ্গত ইউরোপের সেরা ১২টি ক্লাব সরাসরি জোটের মঞ্চ থেকে ইউরোপিয়ান সুপার লিগ চালু করার উদ্যোগও নিয়েছিল। কিন্তু ফিফা, উয়েফাএবং ১২ ক্লাবের সমর্থকদের প্রবল বিরোধীতার সামনে শেষ পর্যন্ত বিরোধী লিগের পরিকল্পনা ভেস্তে যায় । ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ৬টি ক্লাব প্রথমে জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসে। তার পর একে একে বাকি ক্লাবগুলিও জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসে।