চূড়ান্ত খারাপ কেটেছে আইপিএল ২০২৩ অভিযান। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের পরেও ছন্দে ছিলেন না একেবারেই। দলীপ ট্রফিতে বড় রান করতে পারেননি। ভারতীয়-এ দলের হয়ে এমার্জিং এশিয়া কাপে ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হন। স্বাভাবিকভাবেই রংচটা রিয়ান পরাগকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। অবশেষে ব্যাট হাতেই তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় প্রশ্নের জবাব দিলেন রিয়ান। পূর্বাঞ্চলের হয়ে দেওধর ট্রফির ম্যাচে ধ্বংসাত্মক শতরান করে ফর্মে ফিরলেন পরাগ।
রিয়ান পরাগ এবছর আইপিএলের ৭টি ম্যাচে মাঠে নেমে সাকুল্যে ৭৮ রান করেন। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ২০ রানের। মধ্যাঞ্চলের বিরুদ্ধে দলীপ ট্রফির ম্যাচে দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৩৩ ও ১৪ রান করেন তিনি। ফাইনাল-সহ এমার্জিং এশিয়া কাপের যে ২টি ম্যাচে ব্যাট করতে নামেন রিয়ান, তাতে তাঁর সংগ্রহ সাকুল্যে ২৬ রান। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিরুদ্ধে দেওধর ট্রফির ম্যাচে বল হাতে ৪টি উইকেট নিলেও ব্যাট হাতে সংগ্রহ করেন মোটে ১৩ রান।
সুতরাং, আইপিএল ২০২৩ থেকে সব ফর্ম্যাট মিলিয়ে যে ১২টি ইনিংসে ব্যাট করতে নামেন রিয়ান পরাগ, তাতে একটিও হাফ-সেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি। একটি ৩৩ ও একটি ২০ রানের ইনিংস ছাড়া বলার মতো পারফর্ম্যান্স নেই তাঁর ব্যাটে। এমন ধারাবাহিক ব্যর্থতার পরে রিয়ানের ফর্ম নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের অধৈর্য হওয়াই স্বাভাবিক।
অবশেষে ব্যর্থতার সেই ধারাটা কাটিয়ে উঠলেন রিয়ান। শুক্রবার পূর্বাঞ্চলের হয়ে দেওধর ট্রফিতে মাঠে নেমে উত্তরাঞ্চলের বিরুদ্ধে মারকাটারি ইনিংস খেলেন তিনি। চার-ছক্কার ফুলঝুরি ফুটিয়ে চাপে থাকা পূর্বাঞ্চলকে বড় রানের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন রিয়ান।
টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামা পূর্বাঞ্চল একসময় ৫৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে। অভিমন্যু ঈশ্বরন ১০, উৎকর্ষ সিং ১১, বিরাট সিং ২, সুভ্রাংশু সেনাপতি ১৩ ও ক্যাপ্টেন সৌরভ তিওয়ারি ১৬ রান করে আউট হন। কুমার কুশাগ্রকে সঙ্গে নিয়ে ঠিক তার পরেই পালটা লড়াই শুরু করেন রিয়ান। ষষ্ঠ উইকেটের জুটিতে দু'জনে যোগ করেন ২৩৫ রান।
রিয়ান ১টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৩৮ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকান ৪টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে ৮৪ বলে। শেষমেশ ৫টি চার ও ১১টি ছক্কার সাহায্যে ১০২ বলে ১৩১ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন রিয়ান।
কুমার কুশাগ্র নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া করেন। তিনি ৮টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৮৭ বলে ৯৮ রান করে আউট হন। শাহবাজ আহমেদ ১৬, মণিশঙ্কর মুরাসিং ২৫ ও আকাশ দীপ ২ রানের যোগদান রাখেন। পূর্বাঞ্চল নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ৩৩৭ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।