ভারতে সেমি-কন্ডাক্টর চিপ তৈরির অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এটি যে ভারতীয় উত্পাদন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বড় মাইলস্টোন হতে চলেছে, তা বলাই যায়।
বিশেষত, গত কয়েক বছর ধরে বিশ্বব্যাপী সেমি-কন্ডাকটর চিপের ঘাটতি রয়েছে। চাহিদার তুলনায় জোগান নেই। বিশেষত গাড়ি উত্পাদকরা সমস্যায় পড়ছে। চিপের অভাবে কমে যাচ্ছে উত্পাদনের সংখ্যাও। ফলে সেই ঘাটতি পূরণেই নামতে চাইছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় টেলিকম এবং আইটি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, সেমি-কন্ডাক্টর চিপগুলির নকশা এবং উত্পাদন থেকে শুরু করে পুরো প্রক্রিয়া ভারতেই হবে।
সাংবাদিবক বৈঠকে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, আগামী ৫-৬ বছরে সেমি-কন্ডাক্টর উত্পাদনে ৭৬ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে 'প্রোগ্রাম ফর ডেভেলপমেন্ট অফ সেমিকন্ডাক্টর এবং ডিসপ্লে ম্যানুফ্যাকচারিং ইকোসিস্টেম'।
সরকার বলছে যে প্রকল্পটি বিভিন্ন সেক্টরে নতুন করে অক্সিজেন জোগাবে। আন্তর্জাতিক বাজারেও সেমি-কন্ডাকটর চিপের চাহিদা তুঙ্গে। তুলনায় উত্পাদন একেবারেই কম। ফলে সেখানেও দ্রুত সরবরাহ করবে ভারত। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতি এবং ৫ ট্রিলিয়ন জিডিপি অর্জনে এই সিদ্ধান্ত উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। প্রকল্পটি সেমিকন্ডাক্টর এবং ডিসপ্লে ম্যানুফ্যাকচারিং-এর পাশাপাশি ডিজাইনের সংস্থাগুলির উন্নতিতে সাহায্য করবে। এর ফলে ইলেকট্রনিক্স উত্পাদনে একটি নতুন যুগের সূচনা হবে, মত কেন্দ্রীয় সরকারের।
অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আজ একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটি সম্পূর্ণ সেমি-কন্ডাক্টর ইকোসিস্টেমের বিকাশে সাহায্য করবে। সেমি-কন্ডাক্টর চিপের ডিজাইন থেকে শুরু করে তার প্যাকিং এবং টেস্টিং পর্যন্ত সবকিছুই হবে আমাদের দেশের মাটিতে।' রয়টার্সের এক রিপোর্ট অনুযায়ী ইতিমধ্যেই বিনিয়োগকারীর বিষয়ে নিশ্চিত কেন্দ্র। ইজরায়েলের টাওয়ার সেমিকন্ডাক্টর, অ্যাপলের চিপ প্রস্তুতকারক ফক্সকন এবং সিঙ্গাপুর-ভিত্তিক একটি কনসোর্টিয়াম-সহ বড় উত্পাদক সংস্থাগুলি ভারতে সেমিকন্ডাক্টর ইউনিট স্থাপনে আগ্রহ দেখিয়েছে।