পৃথিবীতে বসে মানুষ দিগন্তের দিকে তাকিয়ে থাকে মুগ্ধ হয়ে। আর মহাকাশে বসে বিজ্ঞানীরা যখন গোটা পৃথিবীরই দিগন্ত প্রত্যক্ষ করে, তা যে কতটা আশ্চর্যজনক! সাম্প্রতিক পোস্টে, ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্স অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NASA) আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (ISS) থেকে নেওয়া পৃথিবীর দিগন্তের এমনই একটি অত্যাশ্চর্য ছবি শেয়ার করেছে।
নিয়মিত আমাদের মহাবিশ্বের অত্যাশ্চর্য ছবি দেখিয়ে থাকে আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা নাসা। যা মহাকাশ প্রেমীদের মন্ত্রমুগ্ধ করে। NASA-এর ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলটি আসলে ধনসম্পদের মতন, যেখানে পৃথিবী এবং মহাকাশ সম্পর্কিত শিক্ষার আলো উজ্জ্বল। এই মুহূর্তে মহাকাশচারী আন্দ্রেয়াস মোগেনসেনের তোলা একটি ছবি রীতিমত ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
নাসার মতে, সূর্যালোক যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্যে ভাসমান পরমাণু এবং অণুর সঙ্গে যোগাযোগ করে তখন বায়ুমণ্ডলীয় আভা দেখা দেয়। আর সেই মুহূর্তটাই ক্যামেরাবন্দি করেছেন আন্দ্রেয়াস। ছবিটি শেয়ার করে NASA পোস্টটির ক্যাপশন লিখেছে, 'পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলীয় আভা এবং তারাময় আকাশের এই উচ্চ এক্সপোজার ছবিতে ক্যাপচার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (@ISS) থেকে তোলা এই ছবিটি পাপুয়া নিউ গিনির উত্তর-পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগরের ২৫৮ উপরের বায়ুমণ্ডলের চিত্র।'
- ISS থেকে তোলা হাই-এক্সপোজার ছবি
ছবিটিতে দেখা গিয়েছে, পৃথিবীর উপরে ভাসমান একটি সোনালি আভা। অন্ধকার ঝলমল করছে তারাময় আকাশ। তারই মাঝে ওই আভা দৃশ্যমান। Space.com এর মতে, এই মুহূর্তটি এয়ারগ্লো নামে পরিচিত। এটি ঘটে যখন সূর্যের আলো উপরের বায়ুমণ্ডলে পরমাণু এবং অণুগুলিকে শক্তি দেয়, যার ফলে তারা সংশ্লিষ্ট স্থান থেকে দৃশ্যমান একটি নরম আভা নির্গত করে। ছবির বর্ণনায় নাসা আরও লিখেছে- পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সোনালী আভা থেকে উপরে আরও একটি লাল আভা দেখা যাচ্ছে। পৃথিবীর পৃষ্ঠ মেঘ দ্বারা বেষ্টিত, যা সম্পূর্ণরূপে একটি মহাসাগরের মত দেখায়।
বলা বাহুল্য, মহাকাশ সংস্থাটি কয়েক দিন আগে ছবিটি শেয়ার করেছে এবং তারপর থেকে পোস্টটি এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। কমেন্ট বক্সে জমেছে নেটিজেনদের ভিড়। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ' সীমাহীন মহাকাশ বড়ই আশ্চর্যজনক। অন্য একজন লিখেছেন, 'এটি একটি দুর্দান্ত ছবি! দীর্ঘ এক্সপোজারে সঠিক মুহূর্ত তুলে ধরতে মহাকাশচারীরা অবশ্যই কোনও ধরনের স্টার ট্র্যাকার ব্যবহার করেছেন যাতে সবকিছু স্থিতিশীল দেখায়। তাঁদের অভিনন্দন।' আবার তৃতীয় ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে'।