প্রযুক্তিকেই পাথেয় করে এগোতে চান প্রধানমন্ত্রী। পড়ুয়াদেরও তেমনই পরামর্শ দিলেন। আজকের বিশ্বে প্রযুক্তির গুরুত্বের উপর জোর দিয়ে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোমবার বলেছেন যে কেউ প্রযুক্তি থেকে পালিয়ে বাঁচতে পারবে না। এটিকে বোঝা হিসাবে না ভেবে, বরং বিচক্ষণতার সঙ্গে সদ-ব্যবহার করা উচিত। সম্প্রতি, বার্ষির অনুষ্ঠান 'পরীক্ষা পে চর্চা’র সপ্তম সংস্করণে আসন্ন বোর্ড পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী। পরীক্ষার চাপ এবং পড়ুয়াদের শিক্ষা জীবনের সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র সম্পর্কিত হাজারও প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
মোবাইল ব্যবহার নিয়ে যা বললেন মোদী?
কীভাবে পড়াশোনা বজায় রেখে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের প্রাচুর্যের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আরও উন্নত প্রযুক্তি জ্ঞান লাভ করা যায়, সবটা নিয়েই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর চোখে, কোনও কিছু অতিরিক্ত ভালো নয়। রান্না করা খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারের তুলনা করে মোদী বলেন, পুষ্টিতে ভরপুর খাবার যেমন অতিরিক্ত খেলে পেটের সমস্যা হয়, ঠিক তেমনই অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারও ক্ষতিকর। প্রযুক্তি এবং মোবাইল ফোনের কার্যকর ব্যবহারের উপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী মোদী ডেডিকেটেড মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন এবং সরঞ্জাম ব্যবহার করে স্ক্রিন টাইম নিরীক্ষণের উপরও নজর রাখতে বলেছেন। এমনকি ক্লাস রুমেও মোবাইল ফোনে সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের আরও শেখার বিষয় নিয়েও কথা বলেছেন।
- পরিবারের নিয়মকানুন নিয়ে যা বললেন মোদী?
প্রধানমন্ত্রী পরিবারে কিছু নিয়ম-কানুন প্রণয়নের উপরও জোর দেন। ডিনারের সময় কোনো ইলেকট্রনিক গ্যাজেট না রাখা এবং বাড়িতে কোনো গ্যাজেট জোন তৈরি না করার কথা উল্লেখ করেন। তাঁর কথায়, 'আজকের বিশ্বে কেউ প্রযুক্তি থেকে পালাতে পারে না। এটিকে বোঝা হিসাবে ভাববেন না। তবে এটির কার্যকর ব্যবহার শেখা বাধ্যতামূলক,' তিনি শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়েছেন যে, এই প্রযুক্তির বিষয়টা যেন তাঁরা তাঁদের অভিভাবকদেরও শিখিয়ে দেন। স্বচ্ছতা বজায় রাখতে বাড়ির প্রত্যেক সদস্যের সঙ্গে প্রতিটি মোবাইল ফোনের পাসকোড শেয়ার করার সুপারিশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তিনি কীভাবে মানসিক চাপ মোকাবেলা করেন সে সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের জবাবে মোদী বলেছিলেন, 'আমি প্রতিটি চ্যালেঞ্জকেই চ্যালেঞ্জ করি'। আমি চ্যালেঞ্জ পাস করার জন্য চুপচাপ অপেক্ষা করি না। এটি আমাকে সব সময় শেখার সুযোগ দেয়। নতুন পরিস্থিতি মোকাবেলা করার বিষয়টি আমাকে সমৃদ্ধ করে। আমার সবচেয়ে বড় আত্মবিশ্বাস হল আমার সঙ্গে ১৪০ কোটি দেশবাসী রয়েছেন। যদি ১০০ মিলিয়ন চ্যালেঞ্জ থাকে, কোটি কোটি সমাধান আছে। আমি নিজেকে কখনই একা ভাবি না এবং সবকিছুই আসলে আমার উপর নির্ভর করে, আমি আমার দেশ এবং দেশবাসীর সক্ষমতা সম্পর্কে সর্বদা সচেতন। এটা আমার চিন্তার মৌলিক বিষয়।'
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর এই বিশেষ অনুষ্ঠানে এদিন ১৪.৯৩ লক্ষ শিক্ষক এবং ৫.৬৯ লক্ষেরও বেশি অভিভাবক সহ ২ কোটিরও বেশি শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করিয়েছিলেন। এবং তাঁদের ৪,০০০ জন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন।