ঘটনা গত ৮ জুলাইয়ের। সেদিন নয়া দিল্লি থেকে প্রয়াগরাজের উদ্দেশে রওনা হয়ে পুরুষোত্তম এক্সপ্রেসে সফর করছিলেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি। সঙ্গে ছিল পরিবার। এমনই তথ্য জানা যাচ্ছে। তবে ট্রেন সেদিন ৩ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে। আর এই সময়কালে বিচারপতিকে কোনও ‘রিফ্রেশমেন্ট’ দেওয়া হয়নি। এরফলে বিচারপতির যে ‘অসুবিধা’ হয়েছিল, তার জবাবদিহি চেয়ে রেলের কাছে চিঠি পাঠালেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার।
গত ১৪ জুলাই রেলকে এই চিঠি লেখেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার আশিস কুমার উপাধ্যায়। চিঠিতে তিনি ট্রেনের দেরি হওয়ার প্রসঙ্গটি তোলেন। একই সঙ্গে তুলে ধরেন, যে ট্রেন দেরিতে ছাড়ার পরও কেন যাত্রী হিসাবে সওয়ার হওয়া বিচারপতিকে কোনও খাবার বা ‘রিফ্রেশমেন্ট’ দেওয়া হল না? চিঠিতে লেখা হয়েছে, এজন্য'লর্ডশিপের প্রচন্ড অসুবিধা ও অসন্তুষ্টি সৃষ্টি হয়েছিল।’ এদিকে রেলের নর্থ-সেন্ট্রাল রেলের পাবলিক রিলেশন অফিসার হিমাংশু শেখর উপাধ্যায় এই ইস্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা চিঠিটি নজর দিয়ে দেখছি এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি স্পষ্ট হওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং এ বিষয়ে মাননীয় আদালতকে অবহিত করা হবে।’ রেলের তরফে হিমাংশু শেখর উপাধ্যায় বলছেন , ‘ আমাদের উদ্দেশ্য সকলকে সর্বোত্তম পরিষেবা প্রদান করা। কোথায় ভুল হয়েছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি।’ চিঠিটি এলাহাবাদ হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার (প্রটোকল) আশিস কেআর শ্রীবাস্তব নর্থ সেন্ট্রাল রেলওয়ের জেনারেল ম্যানেজারকে লিখেছেন।
জানা যাচ্ছে, ৮ জুলাই পুরুষোত্তম এক্সপ্রেসের ফার্স্ট এসি কামরায় সফর করছিলেন এলাহাবাদ হাইকোর্টের ওই বিচারপতি। অভিযোগ, ‘টিকিট পরীক্ষককে বারবার বলা সত্ত্বেও কোনও জবাব আসেনি, কোনও সরকারি রেল পুলিশকে কোচে পাওয়া যায়নি’ লেখা হয়েছে চিঠিতে। এমনকি চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘ বারবার ডাকা সত্ত্বেও খাবার প্রদানের জন্য তাঁর লর্ডশিপে কোনো প্যান্ট্রি কারের কর্মী উপস্থিত হননি। তাছাড়া প্যান্ট্রি কার ম্যানেজারের কাছে কল করলেও তা তিনি ওঠাননি।’ বিচারপতির এহেন অসুবিধা নিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের তরফে রেলের কাছে জবাবদিহি চাওয়া হয়েছে। তার জবাবেই রেল জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি সম্পর্কে জেনে তবেই তার এর উত্তর পাঠাবে এলাহাবাদ কোর্টকে।