অনেক সময় জীবনে একের পর এক বাধা আসে এবং ব্যক্তি মন খারাপ করে। সে বুঝতে পারে না কীভাবে সব সমস্যার সমাধান হবে। জ্যোতিষশাস্ত্রে যদি বিশ্বাস করা হয়, তাহলে জীবনে এই ধরনের সমস্যার কারণ হল গ্রহের অবস্থান এবং তাদের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। শনি বা রাহুর অবস্থান সাধারণত এই ধরনের বাধার জন্য দায়ী বলে মনে করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে এই সমস্যাগুলি থেকে মুক্তি পাওয়ার সমাধান হল এই গ্রহ এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত দেবতাদের খুশি করা। একটি বিশেষ উপবাসের কথা জেনে নিন, যা আপনাকে এই ধরনের আকস্মিক বাধা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে।
কালাষ্টমীর ব্রতের গুরুত্ব
প্রতি মাসে কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে কালাষ্টমীর উপবাস করার বিধান আছে। এই দিনে ভগবান ভোলেনাথের রুদ্রাবতার, কাল ভৈরবের পুজো করা হয়। ভৈরবের সৌম্য রূপকে বটুক ভৈরব এবং উগ্র রূপকে কাল ভৈরব বলে মনে করা হয়েছে। শাস্ত্র অনুসারে, ভগবান কাল ভৈরবের পুজো করলে জীবনের ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যাদের নিদ্রাহীনতা ও মানসিক চাপ বেশি থাকে, তারাও এই পুজো করলে উপকার পান। বিশেষ করে শনি ও রাহুর বাধা থেকে মুক্তি পেতে কাল ভৈরবের পুজো করতে হবে। কাল ভৈরবের উপাসকের জীবন থেকে সকল প্রকার নেতিবাচকতা দূর হয়ে ইতিবাচকতা প্রবেশ করে।
তারিখ এবং পুজো পদ্ধতি
কালাষ্টমী উপবাস পালিত হবে ১০ জুন (শনিবার)। ধর্মীয় শাস্ত্র মতে, কালাষ্টমী উপবাসের দিন সকালে স্নান সেরে নিয়ম মেনে ভগবান কাল ভৈরবের পুজো করতে হবে। মন্দিরে গিয়ে তাঁর মূর্তির সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে উপবাসের ব্রত নিন এবং রাতে তাঁর আরতি করুন। কাল ভৈরবকে ভগবান শিবের উগ্রতম রূপ বলে মনে করা হয়। তাঁকে তন্ত্র-মন্ত্রের ঈশ্বরও বলা হয়। তার পুজো করলে সমস্ত গ্রহ দোষ, অশুভ দৃষ্টি, ভয়-বাধা ইত্যাদি নাশ হয়।