হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, চৈত্র মাসের নবরাত্রি তিথিতে চৈত্র নবরাত্রি পালিত হয়। আজ (২ এপ্রিল) থেকে চৈত্র নবরাত্রি তিথির সূচনা। এটি আবার বাসন্তী পুজো নামেও পরিচিত। ১১ এপ্রিল সোমবার এই নবরাত্রির সমাপ্তি হবে। চলতি বছর চৈত্র নবরাত্রিতে গ্রহের বিশেষ অবস্থান লক্ষ্য করা গিয়েছে। যা এই উপলক্ষকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।
জ্যোতিষ গণনা অনুযায়ী, চৈত্র নবরাত্রিতে শনি মকর রাশিতে বিরাজ করবে, মঙ্গলও এই রাশিতে উপস্থিত থাকবে। এর ফলে পরাক্রম বৃদ্ধি পাবে। শনিবার নবরাত্রির সূচনার দিনে স্বরাশিতে শনির উপস্থিতি ও মঙ্গলের সঙ্গ এই সময়কে সিদ্ধিকারক করে তুলছে। এর ফলে কাজে সাফল্য লাভ সম্ভব, মনস্কামনা পূরণ হবে ও সাধনায় সিদ্ধি লাভ করা যাবে। চৈত্র নবরাত্রিতে কুম্ভ রাশিতে বৃহস্পতি ও শুক্রের সঙ্গ থাকবে। মীনে সূর্য, বুধের যুতি থাকছে, মেষ রাশিতে চন্দ্র, বৃষ রাশিতে রাহু ও বৃশ্চিক রাশিতে কেতু বিরাজমান থাকবে।
শুভ যোগ
চৈত্র নবরাত্রিতে রবি পুষ্য নক্ষত্রের সঙ্গে সর্বার্থসিদ্ধি যোগ, রবি যোগ এই নবরাত্রিকে স্বয়ং সিদ্ধ করে তুলছে। সর্বার্থসিদ্ধি যোগ লক্ষ্মীর সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত। এই যোগে কাজ শুরু করলে তা সিদ্ধ হয়। অন্য দিকে রবিযোগ সমস্ত দোষ নষ্ট করে। এতে কোনও কাজ করলে তার শীঘ্র ফল লাভ করা যায়।
চৈত্র নবরাত্রির মাহাত্ম্য
ব্রহ্ম পুরাণ অনুযায়ী নবরাত্রির প্রথম দিন আদ্যাশক্তি প্রকট হন। তাঁর আদেশেই ব্রহ্মা চৈত্র শুক্লপক্ষের প্রতিপদা তিথিতে সৃষ্টির নির্মাণ শুরু করেন। মৎস্য পুরাণ অনুযায়ী চৈত্র নবরাত্রির তৃতীয় দিন বিষ্ণপ মৎস অবতার ধারণ করেন। এই নবরাত্রিতেই রামের রূপে নিজের সপ্তম অবতার নেন বিষ্ণু। এ কারণে এই নবরাত্রির মাহাত্ম্য বৃদ্ধি পায়।
শাস্ত্র মতে, প্রতিটি নবরাত্রিতে দুর্গা পৃথক পৃথক বাহনে আসেন। আবার গমনের সময় তাঁর বাহন অন্য হয়। এ বার চৈত্র নবরাত্রিতে দুর্গা ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে মর্ত্যে আসবেন। শনিবার থেকে নবরাত্রি শুরু হলে, ঘোড়ায় আগমন হয় দেবীর। সোমবার মর্ত্য থেকে প্রস্থান করছেন বলে, তাঁর বাহন হবে মোষ।