এই বছর ২৮ অক্টোবর থেকে চার দিনব্যাপী ছট উৎসব শুরু হয়েছিল । এই উৎসব চলবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। ৩১ অক্টোবর উদীয়মান সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদনের মাধ্যমে শেষ হবে ছট পূজা। অন্যদিকে, আজ অর্থাৎ ২৯ অক্টোবর ছট মহাপর্বের দ্বিতীয় দিন।
ছট পূজার দ্বিতীয় দিনটিকে খরনা পূজার দিন হিসেবে ধরা হয়। খরনা পূজার মাধ্যমে শুরু হয় ৩৬ ঘণ্টার নির্জল উপবাস। খরনার দিনে গুড়ের খির, রুটি ও কলা নিবেদন করা হয়। এই দিনে, উপবাসী মহিলারা সন্ধ্যায় খীরের প্রসাদ খান। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে লবণ এবং অন্যান্য শস্য স্পর্শ করা হয় না। চলুন জেনে নেওয়া যাক খরনার পূজার পদ্ধতি, সূর্যাস্তের সময় অর্ঘ্য নিবেদনের সময় এবং এর নিয়ম।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়
খরনা মানে শুদ্ধিকরণ। এই কারণেই এই দিনে পবিত্রতা ও পরিচ্ছন্নতার বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়। এছাড়াও, এই দিনে একটি মাটির চুলায় খরনার নৈবেদ্য তৈরি করা হয়। খরনার দিনে ছট পূজার প্রসাদ ঠেকুয়াও প্রস্তুত করা হয়।
খরনা পূজার শুভ সময়
সূর্যোদয়ের সময়- সকল ০৬.৩১
সূর্যাস্তের সময় –বিকেল ৫.৩৮
সূর্যাস্তের সময় অর্ঘ্য প্রদান মুহুর্তের সময়
পঞ্জিকা অনুসারে, সন্ধ্যা ৫.৩৮ থেকে সন্ধ্যা ৭.১৫ পর্যন্ত লাভের ছঘড়িয়ার কারণে খনার জন্য অমৃত কারক যোগ তৈরি হচ্ছে। এই মুহুর্তে অস্তগামী সূর্যকে অর্ঘ্য ও খরনা নিবেদন করা শুভ হবে।
খরনা পূজার নিয়ম
জ্যোতিষশাস্ত্রের বিশ্বাস অনুসারে, খরনা পূজার নৈবেদ্য শুধুমাত্র পরিষ্কার পাত্র এবং মাটির চুলায় তৈরি করা হয়।
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খরনার পুজো হয়।
সূর্যদেবকে অর্ঘ্য নিবেদন করে তবেই উপবাসকারীরা প্রসাদ গ্রহণ করেন।
তারপর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।