জীবনে অর্থ ও সম্মান লাভই ব্যক্তির প্রধান লক্ষ্য হয়ে থাকে। জ্যোতিষ মতে, সূর্যের প্রভাবে ব্যক্তি জীবনে অর্থ, মান-সম্মান, স্ত্রী সুখ, বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক, সরকারি চাকরি লাভ করে কোনও জাতক। সূর্য মজবুত থাকলে জাতক সৃজনশীল প্রবৃত্তির হয়। হস্তরেখা বিজ্ঞানে সূর্যের অবস্থান ও পরিস্থিতি বিচার করেও ব্যক্তির ভাগ্য, ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়। হাতের অনামিকা আঙুলের নীচে সূর্য পর্বত থাকে। তাই অনামিকাকে সূর্য আঙুলও বলা হয়। সূর্য পর্বত ও আঙুল বিচার করে ব্যক্তি সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায়।
১. যে জাতকের সূর্যের আঙুল ছোট তাঁরা কম মান-সম্মান লাভ করেন। এঁদের জীবনে সব সময় সমস্যা লেগেই থাকে। এমন জাতকের মধ্যে উৎসাহের অভাব থাকে। লক্ষ্য লাভের তাগিদ অনুভব করেন না এঁরা।
২. সূর্য আঙুল সোজা হলে, জাতক যে ক্ষেত্রেই কাজ করেন, সেখানে দীর্ঘদিন পর্যন্ত টিকে থাকেন। একাগ্রতাক সঙ্গে কাজ করেন এঁরা। সূর্যের আঙুল লম্বা হলে সেই জাতক কাজের প্রতি উৎসাহিত থাকেন। আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত থাকে। জীবনে অত্যধিক মান-সম্মান অর্জন করেন এঁরা।
৩. শনি অর্থাৎ মধ্যমা ও সূর্য অর্থাৎ অনামিকা আঙুল সমান হলে, সেই জাতক অত্যন্ত ন্যায়প্রিয় হন। এঁরা ভালো ব্যবসায়ী হন। আবার চাকরি করে থাকলে খুব শীঘ্র সাফল্য অর্জন করেন। সাফল্য লাভের জন্য যে কোনও পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে প্রস্তুত এই জাতকরা।
৪. হস্তরেখা শাস্ত্রে সূর্যের আঙুল যদি শনি আঙুলের দিকে মুড়ে থাকে, তা হলে একে শুভ মনে করা হয় না। এমন জাতক জীবনে বারংবার অপমানিত হন।
৫. সূর্ আঙুল মুড়ে থাকলে এবং সূর্য ও শনি আঙুলের মধ্যে পার্থক্য দেখা দিলে এমন ব্যক্তি তাঁর মা-বাবার কাছ থেকে দূরে সরে থাকেন। মা-বাবার কাছ থেকে সুখ লাভ করেন না এই জাতকরা।
৬. সূর্যের আঙুলের নীচের অংশে তিনটি সোজা রেখা থাকাকে শুভ মনে করা হয়। অর্থ ও সম্মান দুইই লাভ করেন এঁরা। তবে এই রেখা তিনটির বেশি থাকলে ব্যক্তি প্রচুর মান-সম্মান ও অর্থ লাভ করে। তবে স্ত্রীর কাছ থেকে অপমানিত হন এঁরা।