আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথি শারদ পূর্ণিমা নামে পরিচিত। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এই তারিখটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই দিনে দেবী লক্ষ্মীর পূজা করার নিয়ম আছে। কথিত আছে, শারদ পূর্ণিমার রাতে দেবী লক্ষ্মী পৃথিবীতে বিচরণ করেন এবং তার ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন। শারদ পূর্ণিমার রাতে চাঁদ থেকে নির্গত রশ্মিকে অমৃতের মতো মনে করা হয়।
এই কারণেই এই দিনে প্রতিটি বাড়িতে ক্ষীর তৈরি করা হয় এবং রাতে খোলা আকাশের নীচে চাঁদের আলোতে রাখা হয়। শারদ পূর্ণিমার উপবাসকে মনে করা হয় ইচ্ছা পূরণকারী। এই দিনে পূজার পাশাপাশি কিছু ব্যবস্থা নিলে জীবনে সুখ আসে।
ঋণ থেকে পরিত্রাণ পেতে উপায়
কথিত আছে যে, শারদীয় পূর্ণিমার রাতে লক্ষ্মীপূজা করলে ঋণ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়, তাই একে কর্জ মুক্তি পূর্ণিমাও বলা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, এই রাতে শ্রী সূক্ত, কনকধারা স্তোত্র পাঠ, বিষ্ণু সহস্রনাম জপ এবং শ্রীকৃষ্ণের মধুরাষ্টকম পাঠ করলে কর্মে সিদ্ধি পাওয়া যায়।
ইচ্ছা পূরণের প্রতিকার
শারদ পূর্ণিমায় সূর্যাস্তের পর মা মহালক্ষ্মীর পূজা করুন। এছাড়াও, তাদের লাল-হলুদ ফুল নিবেদন করুন এবং ভোগ নিবেদন করুন। এছাড়াও, এই দিনে দেবী লক্ষ্মীকে শৃঙ্গার সামগ্রী নিবেদন করুন। কমলগট্টের বা স্ফটিকের মালায় মা লক্ষ্মীর মন্ত্র জপ করুন।
টাকা পাওয়ার উপায়
শারদীয় পূর্ণিমার রাতে চাঁদের আলোয় ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর পূজা করা উচিত। এতে করে ব্যক্তি অর্থ লাভ করেন। এছাড়াও, শারদ পূর্ণিমার রাতে, হনুমানজির সামনে একটি চারমুখী প্রদীপ জ্বালান।
লকার টাকায় পূর্ণ হবে
কথিত আছে যে, দেবী লক্ষ্মীর কাছে সুপারি খুবই প্রিয়। শারদীয় পূর্ণিমায় সকালে মায়ের পূজায় সুপারি রাখতে হবে। তারপর পূজার পর একটি লাল সুতোয় সুপারি জড়িয়ে গোটা চাল, সিঁদুর, ফুল ইত্যাদি দিয়ে পূজা করে লকারে রাখুন। এতে করে লকার সবসময় টাকায় পূর্ণ থাকবে।
(উপরোক্ত তথ্য ধর্মীয় আস্থা ও লৌকিক মান্যতার উপর আধারিত)