হিন্দু ধর্মীয় শাস্ত্র অনুসারে, পূর্ণিমা, মা লক্ষ্মীর কাছে বিশেষভাবে প্রিয়। এই দিনে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করলে মানুষের জীবনে কোনো কিছুর অভাব হয় না।
পুরাণে মাগশীর্ষ মাসকে বলা হয়েছে 'মাসোনাম মাগশীর্ষোহম' অর্থাৎ মাগশীর্ষের চেয়ে শুভ আর কোনো মাস নেই। মাগশীর্ষ হিন্দু ক্যালেন্ডারের নবম মাস এবং হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে এটি দানের জন্য পরিচিত মাস। মাগশীর্ষ মাসের পূর্ণিমার দিনটি মাগশীর্ষ পূর্ণিমা হিসাবে পালিত হয়। এই দিনে ভক্তরা পবিত্র নদীতে স্নান করে এবং পরম ভক্তি সহকারে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করে।
মাগশীর্ষ পূর্ণিমার দিনে দত্তাত্রেয় জয়ন্তী পালিত হয়। ভগবান দত্তাত্রেয় ত্রিমূর্তি অবতার (ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ) নামে পরিচিত।৮ ডিসেম্বর ২০২২-এ মাগশীর্ষ পূর্ণিমা পড়ছে। এই দিনে উপবাস ও উপাসনার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। আসুন জেনে নিই এই পূর্ণিমা তিথি,র গুরুত্ব ও পূজার পদ্ধতি।
মাগশীর্ষ পূর্ণিমা তিথি
মাগশীর্ষ পূর্ণিমা: বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২ সকাল ৮.০১ এ
পূর্ণিমা শেষ : ৮ ডিসেম্বর ২০২২ সকাল ০৯.৩৭ এ
মাগশীর্ষ পূর্ণিমার তাৎপর্য
শাস্ত্রে পূর্ণিমার দিনে দান করা অত্যন্ত ফলদায়ক বলা হয়েছে। এই দিনে গঙ্গা নদীতে ধ্যান ও স্নান করাও লাভকারী বলে মনে করা হয়। মাগশীর্ষ পূর্ণিমার এই শুভ উপলক্ষ্যে, তাদের আশীর্বাদ পেতে শ্রী হরি বিষ্ণু এবং ভগবান শিবের পূজা করা উচিত।
মাগশীর্ষ পূর্ণিমার উপবাসের পদ্ধতি
মাগশীর্ষ পূর্ণিমার দিনে ব্রহ্ম মুহুর্তে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে উপবাস করা উচিত।
স্নান এর জলে তুলসী পাতা রেখে তারপর স্নান করুন। পবিত্র নদীতে স্নান করলে ভালো হয়।
স্নানের পর সূর্যকে অর্ঘ্য নিবেদন করুন।
এর পরে সূর্য প্রণাম মন্ত্রটি জপ করুন এবং পরিষ্কার পোশাক পরিধান করুন।
এই দিন অভাবগ্রস্তকে খাদ্য ও বস্ত্র দান করা অত্যন্ত শুভ।
রাতে চাঁদকে অর্ঘ্য নিবেদন করুন ।
মার্গশীর্ষ পূর্ণিমার দিনে উপবাস রাখা হয় চন্দ্র দেবতাকে খুশি করতে এবং মানসিক শান্তি পেতে।
লক্ষ্মীপ্রাপ্তির বিশেষ উপায়
* শাস্ত্র মতে প্রতি পূর্ণিমার দিন সকাল ১০টার দিকে মা লক্ষ্মী অশ্ব্থ্থ গাছে আগমন করেন। কথিত আছে যে, যে ব্যক্তি খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে প্রাত্যহিক কাজকর্ম সেরে স্নান করে দুধ জল চিনি নিয়ে অশ্ব্থ্থ গাছের মূলে দেয় এবং কিছু মিষ্টি গাছের গোড়ায় রেখে মিষ্টি জল নিবেদন করে, ধূপকাঠি জ্বালিয়ে দেবী লক্ষ্মীর পূজা করে এবং দেবী লক্ষ্মীকে নিজের বাড়িতে অধিবাস করার জন্য আমন্ত্রণ জানায়, সেই ব্যক্তির উপর লক্ষ্মীর কৃপা সবসময় বজায় থাকে।