২০২৩-এর নভেম্বরে টলিপাড়ার মোস্ট এলিজিবেল ব্যাচেলার লিস্ট থেকে নাম বাদ গেছ পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের। ৪২ বছর বয়সী তারকা ঘর বাঁধেন অনুপম রায়ের প্রাক্তন স্ত্রী, পিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে। সেই বিয়ে নিয়ে কম বিতর্ক দানা বাঁধেনি। ‘বউ চোর’ কটাক্ষও পেতে হয়েছে পরমব্রতকে। তবে অনুপম-প্রশ্মিতার বিয়ের পর সেই বিতর্ক খানিক থিতু হয়েছে।
পরমব্রতর স্ত্রী তথা অনুপম রায়ের প্রাক্তন পরিচয়ের বাইরেও পিয়ার নিজস্ব জগত রয়েছে। পেশায় তিনি একজন মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী। সোশ্যাল মিডিয়াতেও তিনি বেশ অ্যাক্টিভ। শনিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘সন্তান’-এর সঙ্গে ছবি দিলেন পরম। আদরে-সোহাগে মাখামাখি সেই ছবি। পরমের মেয়ের নাম নিনা। আর নিনা হল পিয়ার চারপেয়ে সারমেয়। পিয়ার নয়নের মণি সে। গর্বের সঙ্গে নিজেকে ‘নিনার মা’ বলে থাকেন পিয়া। এবার পরমও নিজেকে ‘নিনার ড্যাড’ হিসাবে পরিচয় করালেন।
দুটি ছবি পোস্ট করেছেন পরম। প্রথমটিতে নিনাকে বুকে জড়িয়ে রয়েছেন, অপরটিতে নিনাকে আদুরে চুমু খেতে যাচ্ছেন। ছবির ক্যাপশনে লেখা- 'শনিবার রাতের আলিঙ্গন, নিনা আর নিনার ড্যাড… ছবি তুলে দিয়েছেন নিনার মা, পিয়া চক্রবর্তী।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে একটু দূরে পিয়া। কারণ নিনার পাশাপাশি এখন তাঁর জীবনে এসেছে আরেক 'ছোট্ট প্রাণ’। সেই ছোট্ট প্রাণ হল একটি বিড়াল ছানা। আদর করে তার নাম রেখেছেন বাঘা।
বাঘা আর নিনাকে নিয়েই এখন পরম-পিয়ার ভরা সংসার। প্রাক্তন স্বামীর বন্ধুকে বিয়ের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ট্রোলের মুখে পড়তে হয় পিয়াকে। এমনকি কেউ বা কারা রটিয়েছিল পিয়ার নাকি আগে থেকেই দুটো সন্তান রয়েছে। যেবিষয়ে ক্ষোভ উগরে দেন পিয়া। টিভি নাইনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পিয়া বলেন, ‘আমি খুবই বিরক্ত হয়েছি। অনেকদিন ধরেই মিথ্যে রটনা চলছে। যবে থেকে আমি পরমকে বিয়ে করেছি, তখন থেকেই। বিভিন্ন পোস্ট ইউটিউব ভিডিয়োতে দেখছি, আমার নাকি দুটো সন্তান আছে। এতদিন এবিষয়ে উত্তর দিইনি। কারণ প্রয়োজন বোধ করিনি। তবে ইদানিং পুরো বিষয়টি বিরক্তিকর হয়ে উঠেছে। লোকজন আমাকে মেসেজ করছেন। বন্ধুদের নানান কথা শোনানো হচ্ছে।’
ওদিকে পিয়াকে বিয়ের পর পরমব্রতর জীবনে কী কী বদল এসেছে? ওপার বাংলার এক সংবাদমাধ্যমকে দিন কয়েক আগে অভিনেতা বলেন, ‘আমি তো একটু বেশি বয়সে বিয়ে করেছি। এতদিন তো আমার সঙ্গে কেউ ছিল না। আমি তো পুরোটাই স্বাবলম্বী, নিজের জিনিস নিজেই গুছিয়ে রাখি। গতকাল থেকে আমার এয়ারপড খুঁজে পাচ্ছিলাম। ….. আজ বউ আমাকে বলল ওগুলো তো তাঁর ব্যাগে। পিয়া বলল, ‘কাল আমাকে তুমি রাখতে দিয়েছিলে’। তখন বুঝলাম এটা আমার রিফ্লেক্সেই কাজ করছে না, যে আমার সঙ্গে কেউ আছে যাকে কিছু রাখতে দেওয়া যায়। এটা আস্তে আস্তে বসছে’।