হিন্দু সংস্কৃতিতে প্রধানত দুটি উৎসব রয়েছে যেখানে ভাই ও বোনের সম্পর্ককে গুরুত্ব দেওয়া হয়। একটি রাখীবন্ধন এবং অন্যটি ভাইফোঁটা।কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় দিনে পালিত হয় ভাইফোঁটা।
রাখী বন্ধনে, বোনেরা তাদের ভাইকে রাখি বাঁধে, ভাইফোঁটায় তারা তাদের ভাইকে তিলক দেয় এবং শুকনো নারকেল দেয়, তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক ভাইফোঁটার দিন কেন বোনেরা ভাইকে নারকেল দেন।
নারকেল দেওয়ার গুরুত্ব
এই দিনে বোনেরা প্রথমে তাদের ভাইদের তিলক লাগান, তারপরে উপবাস ভাঙেন,খাবার গ্রহন করেন। এই দিনে নারকেল দেওয়ার পিছনে কারণ হল যমকে তার বোন যমুনাও নারকেল দিয়েছিলেন এবং যমুনা বিশ্বাস করেছিলেন যে নারকেল তার ভাই যমকে তার কথা মনে করিয়ে দেবে। এই দিনে বোনেরা তাদের ভাইদের সুস্বাস্থ্য কামনা করে তাদের হাতে লাল সুতো বাঁধেন, তাদের কপালে চন্দনের টিকা লাগান এবং নারকেল দেন।
ভাইফোঁটা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি বিশেষ উৎসব। এই দিনটি ভাই-বোনের মধ্যে সৌহার্দ্য ও ভালোবাসাকে উৎসাহিত করার দিন। ভাইফোঁটায় ভাইরা তাদের বোনেদের রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ রাক্ষস নরকাসুরকে হত্যা করে ফিরেছিলেন এবং তারপরে তার বোন সুভদ্রা তাকে অনেকগুলি প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে স্বাগত জানিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে তিলক লাগিয়ে শ্রীকৃষ্ণের দীর্ঘায়ু কামনা করেছিলেন সুভদ্রা।
দীপাবলির দ্বিতীয় দিনে ভাইফোঁটা পালিত হয়। তিথির কাকতালীয় কারণে এ বছর ভাইফোঁটা দু’দিন পালিত হচ্ছে। ভাইফোঁটা ২৬ অক্টোবর এবং ২৭ অক্টোবর পালিত হচ্ছে। বোনেরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে ভাই ফোটার জন্য। এই দিনে বোনেরা তাদের ভাইয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করে পূজা করে, তার মঙ্গল কামনা করে এবং তিলক করে। কথিত আছে, ভাই ফোটার দিন তিলক লাগালে ভাই দীর্ঘায়ুর পাশাপাশি সুখ-সমৃদ্ধির আশীর্বাদও পায়।